সুশান্তের প্রাক্তন ম‍্যানেজার দিশার গর্ভে সূরজ পাঞ্চোলির সন্তান

সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত‍্যু তদন্তের মোড় ঘুরেই চলেছে ক্রমে। প্রায় প্রতিদিনই সামনে আসছে এক একটি নতুন তথ‍্য যা প্রকাশ করছেন অভিনেতার প্রিয়জনেরা বা সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও। আর তার ভিত্তিতেই বারে বারে পালটাচ্ছে তদন্তের অভিমুখ।

নেটিজেনরা প্রতিনিয়ত নানান দাবি নিয়ে সরব হচ্ছে সুশান্তের মৃত‍্যু নিয়ে। এবার উঠে এসেছে এক চাঞ্চল‍্যকর দাবি। শোনা যাচ্ছে, সুশান্তের প্রাক্তন ম‍্যানেজার দিশা সালিয়ানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল আদিত‍্য পাঞ্চোলির ছেলে সূরজ পাঞ্চোলির। এই সম্পর্কের কথা সুশান্তই জানতেন শুধুমাত্র। তবে সুশান্তের আত্মহত্যার তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, দিশার আত্মহত্যার সঙ্গে সুশান্তের মৃত্য়ুর কোনও যোগ নেই। এসবের মধ্যেই এবার সোশ্যল মিডিয়ায় উঠে আসতে শুরু করেছে একাধিক দাবি।

সূরজের সঙ্গে সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা সয়ে পড়েন দিশা। বিষয়টা জানতে পেরেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে যান সূরজ। উপরন্তু দিশাকে জোর করতে থাকেন অ্যাবরশন করানোর জন‍্য। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অনড় ছিলেন দিশা। ম‍্যানেজার তথা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সমর্থনে সূরজের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন সুশান্ত।

দাবি অনুযায়ী, এরপরেই দিশার ফ্ল‍্যাটে আসেন সূরজ এবং তার কিছু সময় পরেই দিশার আত্মহত‍্যার খবর পান সুশান্ত। এই পুরো ঘটনা মিডিয়ার সামনে ফাঁস করে দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নেন অভিনেতা। কিন্তু তাঁর সুরক্ষার কথা ভেবে তাঁকে বারন করেন বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তী ও প্রিয় বন্ধু সন্দীপ সিং। কিন্তু তাতেও সুশান্ত না দমলে সন্দীপ সূরজের কাছে গিয়ে এই পরিকল্পনার কথা ফাঁস করে দেন।

অপরদিকে রিয়া যান মহেশ ভাটের কাছে পরামর্শ চাইতে। শেষপর্যন্ত সলমন খানের সহায়তায় সুশান্তকেই সরিয়ে দেন তাঁরা। এমনই বিষ্ফোরক দাবি উঠে এসেছে সোশ‍্যাল মিডিয়ায়। তবে তদন্তে নেমে পুলিস আগেই জানায়, দিশার আত্মহত‍্যার সঙ্গে সুশান্তের মৃত‍্যুর কোনও যোগাযোগ নেই। আদিত‍্য পাঞ্চোলিও সরব হয়েছেন সূরজের সমর্থনে। তিনি জানান, সোশ‍্যাল মিডিয়ায় এমন দাবির কথা তিনিও পড়েছেন।

এর আগে জিয়া খানের মৃত‍্যুর সময়ও সূরজকে দোষারোপ করা হয়েছিল। সূরজ খুবই শান্ত ছেলে বলে জানান আদিত‍্য। উপরন্তু এমন অভিযোগে অবসাদগ্রস্ত হয়ে সূরজ কিছু করে ফেললে তার দায় কে নেবে, এমন প্রশ্নও তুলেছেন আদিত‍্য পাঞ্চোলি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *