সমাজ সংস্কারক রাজা রামমোহন রায়ের ২৪৯ তম জন্মদিন

১৭৭২ সালের ২২ মে, হুগলি জেলার রাধানগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন রাজা রামমোহন রায়৷ সারাজীবন অন্ধবিশ্বাস ও গোঁড়ামি থেকে সমাজকে মুক্ত করার লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। বাংলার নবজাগরণের পথিকৃৎ রাজা রামমোহন রায়কেই বলা হয় ভারতের প্রথম আধুনিক পুরুষ বা আধুনিক ভারতের জনক। বুধবার তাঁর ২৪৯ তম জন্মদিনে এই মহাপুরুষের উদ্দেশ্যে টুইট করে শ্রদ্ধা জানালেল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাম মোহন রায়ের আমলে বাংলা ডুবে গিয়েছিল কুসংস্কার, ধর্মান্ধতা এবং অশিক্ষার অন্ধকারে৷ এই অন্ধকার দূর করতেই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। তাই নিরন্তর লড়াইয়ের ফলে সতীদাহ প্রথার মতো ঘৃণ্য সামাজিক প্রথার অবসান হয়। তার জন্য অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছিল তাঁকে। ১৮১৪ সালে তিনি গড়ে তোলেন ‘আত্মীয়সভা’। ১৮২৮ সালে দ্বারকানাথ ঠাকুরের সঙ্গে ‘ব্রাহ্মসমাজ’ স্থাপন করেন রাম মোহন রায়।

পরবর্তীকালে এই ব্রাহ্মসমাজ এক সামাজিক ও ধর্মীয় আন্দোলন এবং বাংলার পুনর্জাগরণের পুরোধা হিসেবে কাজ করে। উপমহাদেশে জাতীয় চেতনার উন্মেষেও রামমোহন রায়ের প্রভূত অবদান ছিল। মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আকবর রামমোহন রায়কে ‘রাজা’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৮৩১ সালে মুঘল সাম্রাজ্যের দূত হিসেবে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স ভ্রমণ করেন তিনি। ১৮৩৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মেনিনিজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ব্রিস্টলে তাঁর জীবনাবসান হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *