শুভেন্দুর দল ছাড়ার চব্বিশ ঘন্টা হতে না হতেই তৃনমূল দল ভাঙতে শুরু করল সর্বত্র। মেদিনীপুরের রেশ এসে পড়ল শিলিগুড়িতে। এতদিন শুভেন্দুর দল ছাড়ার টালবাহানার মধ্যেই শিলিগুড়িতেও তাঁর পোস্টার পড়ছিল । শুভেন্দুর দলত্যাগের সঙ্গে সঙ্গেই শিলিগুড়িতেও দলত্যাগ করল তৃণমূলের কিছু দাদার অনুগামীরা।বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে দল ছাড়লেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর অরোরা ওরফে মানিক।তার সাথে আরও অনেকে এদিন দল ছাড়েন।
দীপঙ্কর অরোরা জানান, শুভেন্দু অধিকারী যেদিকে যাবেন আমরা সেদিকে যাবো।কারণ তাকে দেখেই আমরা দলটা করতাম।উনি যে দলে যোগ দেবেন সেই দলেই আমরাও যোগ দেবো।আমরা দলটাকে ভালোবেসে করতাম কিন্তু এই দলে স্বচ্ছ কর্মীদের কোনও জায়গা নেই।তাই অনেকেই এই দল ছেড়ে চলে যাবে।দলের অনেক নেতাই নিজেদের বিশাল বড় কিছু ভাবে।কয়েকজন মিলেই দলটা চালাচ্ছেন।অন্যদের কোনও গুরুত্ব নেই দলে।তবে নেতৃত্বদের বিরুদ্ধে আমার কোনও অভিযোগ নেই।আমি আমার পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরো জানান ,জানুয়ারী মাসে শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়ি আসবেন তখন আমরা দেখিয়ে দেবো আমাদের কত ক্ষমতা রয়েছে।উল্লেখ্য এই দীপঙ্কর অরোরা ২০১৪সালে দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছল।পরে আবার অবশ্য তিনি ফিরে এসেছিলেন।তাই তার ফের দল ছাড়া নিয়ে দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ও যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবেনা।বাচ্চা ছেলে পরে আবার ফিরে আসবে।