সমগ্ৰ বিশ্বে চলছে করোনা রোগের প্রভাব।ঝুলন যাত্রার রেশ কাটতে না কাটতেই আসমুদ্রহিমাচল উদযাপিত হয় জন্মাষ্টমী। জন্মাষ্টমী যেন ভক্তের কাছে শ্রীকৃষ্ণের নবজন্ম। তাই এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবেগ, ভক্তি ও ভালোবাসা। পিছিয়ে নেই শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রম এবং শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশন। শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রম এবং শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিঙ্ঘানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালন সম্পর্কে বলেন, সেদিন ১১ আগস্ট তথা মঙ্গলবার সকাল ব্রহ্মমূহুর্তে মঙ্গল আরতি, গুরুবন্দনা, কীর্তন, সকাল সাতটায় শ্রীশ্রী চন্ডিকা, সকাল দশটায় গীতা পাঠ, সন্ধান প্রার্থনা, রাত্রী আটটায় অষ্টমীব্রত কথা আলোচনা, রাত্রি নয়টায় সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুস্মিতা চৌধুরী, বিশাল চৌধুরী,বিপাশা দে,মন্টি দে, রাত্রি দশটায় কৃষ্ণ শতনাম পাঠ, ১২টা১মিনিটে অষ্টমীপূজা এবং পরের দিন ১২ই আগস্ট বুধবার পারন উদযাপনের মাধ্যমে উৎসব সমাপ্তি হয়।
এই দুই দিনে শিলডুবি ও শিলচর মঠে প্রায় সাতশত ভক্তদের মধ্যে প্যাকেটিং করা মহাপ্রসাদ বিতরন করা হয়।ভক্তদের উদ্দেশ্যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সম্পর্কে শ্রীমৎ বিঙ্ঘানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ বলেন, শ্রীকৃষ্ণের জন্মকাহিনী, জীবন নিয়ে উৎসাহের অবকাশ নেই। হিন্দু পুরাণের সবচেয়ে জনপ্রিয় চরিত্র শ্রীকৃষ্ণ। ভগবৎ গীতা, বৈষ্ণব পদাবলী জুড়ে যার বিচরন।সবচেয়ে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হিন্দুদেবতা হলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।
শাস্ত্রে আছে, কেউ যদি একবার যদি শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করেন, তাহলে তাকে আর জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না পূর্ণজন্ম গ্রহণ করতে হয় না। শুভ জন্মাষ্টমী সনাতন তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যময় একটি দিন। এই মহাপবিত্র দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন করোনামুক্ত করে এই পৃথিবীতে পূনরায় শান্তি ও সমৃদ্ধি ফিরে আনেন।
এই দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে সহযোগিতায় ছিলেন, রেবতী রঞ্জন তালুকদার, কাজল দে, মিটু চৌধুরী, দিলীপ মিত্র, শচীন চৌধুরী, পরেশ দে, নেপাল চৌধুরী, রতন দে, অমল বনিক, রাকেশ মিত্র, অনিল কুমার চৌধুরী, তুহিন দে সহ অন্যান্যরা।[deep]