লড়াই শেষে ফিরলো বাবার কাছে, দুই নাবালিকা

দীর্ঘ লড়াই এর পর ফিরলো বাবার কাছে, দুই নাবালিকা ।শনিবার হাই কোর্টের নির্দেশে পাকাপাকিভাবে সন্তানদের পেয়ে খুবই খুশি সানু দাস।শুক্রবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করে পুরো বিষয়টি জানালেন দার্জিলিং জেলা লিগ্যাল এইড ফোরামের সভাপতি অমিত সরকার।
জানালেন শিলিগুড়ি সংলগ্ন মাটিগাড়ার পোকাইজোতের বাসিন্দা সানু দাস। চার বছর আগে গুরুতর রোগে আক্রান্ত হলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন। সানু পরিবার বলতে তিন মেয়ে এবং এক ছেলে। স্ত্রী বছরখানেক আগেই মারা গিয়েছেন। অসুস্থ হওয়ার পর চার ছেলেমেয়েকে দেখাশোনার জন্য জলপাইগুড়িতে নিজের বোনের কাছে পাঠিয়ে দেন। সুস্থ হয়ে ফেরার পর সন্তানদের আনতে গেলে শুনতে পারেন তার দুই মেয়েকে পাড়ার কয়েকজনের পরামর্শ অনুযাযি জলপাইগুড়ির একটি হোমে পাঠানো হয়েছে। হোম থেকে নিজের দুই মেয়েকে আনতে গেলে দেখেন হোম তালাবন্ধ। দীর্ঘ খোজাখুজির পর না মেলায় শেষমেশ দার্জিলিং জেল লিগ্যাল এইড ফোরামের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখান থেকে পুলিসে অভিযোগ জানানো হয়। ঠিক সেসময় জলপাইগুড়ির ওই হোম কাণ্ডের বিষয় সামনে আসে। অভিযোগ ওঠে,হোম থেকে শিশু পাচারের। যেই ঘটনায় উঠে আসে একাধিক চিকিত্সক, রাজনৈতিক নেতৃত্বর। তারপরই রাজ্য সরকার ঐ ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়। তদন্তে নেমে 2018 সালে সিআইডি জলপাইগুড়ির এক দম্পতির থেকে সানু দাসের 11 বছরের মেয়েকে উদ্ধার করে। তারপরই ওই জেলারই আরেকটি অসরকারি হোম থেকে 14 বছরের আরেক মেয়ে উদ্ধার হয়। এরপরই আদালতের নির্দেশে দুই মেয়েকে কিছুদিন হোমে রাখার পর বেস কয়েকমাসের জন্য সানু দাসের কাছে অবজারভেসনে রাখার পর শুক্রবার আদালত ওই দুই নাবালিকাকে পাকাপাকিভাবে বাবার কাছে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *