তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে সোমবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে, রাজভবনের গেটে এবং বিভিন্ন জেলায় মূলত সম্পূর্ণ রাজ্যে বিক্ষোভ তুমুল আকার নিয়েছিল। সেই সময় রাজ্যপাল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে বলে সরকারের বিরুদ্ধে টুইট করেন, সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই উপস্থিত ছিলেন নিজাম প্যালেসে, সেখানেও রাজ্যপালের ফোন যায় এবং তখন মমতা দৃঢ় ভাবে রাজ্যপালকে কিছু কথা বলেন। এর পরই মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি পাঠান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে। পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে বিধানসভায় রাজ্যপালের অপসারণের প্রস্তাব নেওয়ার কথাও ভেবে রেখেছে শাসক দল।
ধনখড় রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল মতান্তর সোশ্যাল মিডিয়ায় সামনে এসেছে বহুবার। এর আগেও দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে ধনখড়ের ‘কার্যকলাপ’ নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে এসেছিলেন মমতা। তবে এ বার বিধানসভা ভোটের আগে থেকে রাজ্যপাল ও সরকারের সংঘাত বড় আকার নেয়। রাজ্যপাল প্রায় প্রতিদিনই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক টুইট করেছেন। পাল্টা তাঁকেও ‘বিজেপির লোক’ বলে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে শাসক দল।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা যে দিন শপথ নেন, সে দিনও ভোট পরবর্তী গোলমালের কথা তুলে রাজ্যপাল তাঁকে খোঁচা দেন। জবাব দেন মমতাও। একই ঘটনা ঘটে বাকি মন্ত্রীদের শপথের দিনেও। তবে বিশেষ দু’টি ঘটনার একটি হল নতুন মন্ত্রিসভার শপথের আগেই নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত দুই ভাবী মন্ত্রী এবং এক তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে সিবিআইকে সম্মতি দেওয়া। অন্যটি কোভিড পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর আপত্তি থাকা স্বত্বেও বিজেপি নেতাদের সঙ্গী করে ‘সন্ত্রাস’ দেখতে বেরিয়ে পড়া।