মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় চা বিক্রেতার দোকান ভাঙচুর ও ব্যাপক মারধর

দোকানে বসে রাস্তার মহিলাদের কটূক্তির প্রতিবাদ করায় এক চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠলো কয়েকজন হামলাকারীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালদা শহরের গয়েশপুর এলাকায়। এই হামলার ঘটনার পর ওই চা বিক্রেতার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। সেই সময় অভিযুক্তরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ । যদিও এই হামলার ঘটনায় ওই চা বিক্রেতার দোকান ভাঙচুর করেছে দুষ্কৃতীরা বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় আক্রান্ত চা বিক্রেতা চিকিৎসাধীন রয়েছেন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। এই হামলার বিষয়ে আক্রান্ত চা বিক্রেতা রোহিত সবজি, ভোলা সবজি সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত চা বিক্রেতার নাম আরমান সবজি (৪২)। তার বাড়ি গয়েশপুর এলাকায়। বাড়ি থেকে সামান্য দূরে রাস্তার ধারে ফুটপাতে একটি অস্থায়ী চায়ের দোকান রয়েছে আরমান সবজির। সেই চায়ের দোকান চালিয়েই কোনরকমে সংসার চলে তার। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে ওই চায়ের দোকানে বেশকছু এলাকার যুবক চা খেতে এসে নানান ধরনের আজে বাজে আচরণ শুরু করেছিল বলে অভিযোগ। এতে করে পথচলতি মহিলারাও চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছিল । এমনকি ওই দোকানে চা খাওয়ার নামে অভিযুক্তরা রাস্তায় চলাফেরা করা কয়েকজন মহিলাকে উদ্দেশ্য করে নানাভাবে কটুক্তি করতো বলে অভিযোগ। 

আক্রান্ত চা বিক্রেতা আরমান সবজি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, চায়ের দোকানে বসে মাঝেমধ্যেই আড্ডা মারতো রহিত সবজি এবং তার বন্ধুরা। মহিলাদের আজেবাজে কটূক্তি করায় তিনি প্রতিবাদ করেছিলেন। এরপরে ওই অভিযুক্তরা তাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে দোকানের মধ্যেই ব্যাপক মারধর করে । ভাঙচুর করে দেওয়া হয় পুরো দোকানটি।  

এদিকে এই ঘটনার পর স্থানীয় এলাকার একাংশ বাসিন্দারা হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে ব্যাপক ক্ষোভ দেখায়। তদন্তে পুলিশ গেলে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার মানুষ । অন্যায় ভাবে ওই চা বিক্রেতার উপর মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

ইংরেজবাজার থানার পুলিশ জানিয়েছে, আক্রান্ত ওই দোকানদার পাঁচ জনের নামে ইংলিশ বাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *