মন্ত্রীসভায় মমতা নিজের হাতেই রাখলেন আটটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর

বহু দায়িত্বে রদবদলের সঙ্গে গঠিত হল মমতার তৃতীয়বারের মন্ত্রীসভা। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় নিজের হাতেই রাখলেন আটটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর- স্বরাষ্ট্র ও পাহাড়, কর্মীবর্গ ও প্রশাসন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, উদ্বাস্তু ও ত্রাণ এবং তথ্যসংস্কৃতি । এবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরকেও মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে রেখেছেন। 

রাজ্য বিধানসভার শাসকদলের মুখ্য সচেতক হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে নির্মল ঘোষকে। সেই সঙ্গে তাপস রায় কে উপ মুখ্য সচেতক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী জানান। মন্ত্রীদের মধ্যে দফতর বন্টনের যে তথ্য সামনে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী নিজে তাঁর হাতে আগে যে দফতরগুলি ছিল সেগুলিকে ধরে রেখেই বাকি দফতর মন্ত্রীদের মধ্যে বন্টন করে দিয়েছেন। মন্ত্রীসভার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, অমিত মিত্র রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর পাশাপাশি বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন পরিসংখ্যান ও যোজনা এবং পরিকল্পনা দফতরের। সুব্রত মুখোপাধ্যায় গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা এবং শিল্প পুনর্গঠনের দায়িত্ব পাচ্ছেন। সাধন পাণ্ডে ক্রেতা সুরক্ষা দফতর ধরে রেখে বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতরের। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বন দফতরের পাশাপাশি পাচ্ছেন অপ্রচলিত ও পুনর্যোগ্য শক্তির দফতর। বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা পাচ্ছেন সুন্দরবন উন্নয়ন বিষয়ক দফতর। শিল্প, বাণিজ্য তথ্যপ্রযুক্তি ও পরিষদীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পাচ্ছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর থাকছে। অরূপ বিশ্বাস পাচ্ছেন বিদ্যুৎ। ফিরহাদ পাচ্ছেন পরিবহণ। 

এছারাও, মন্ত্রিসভায় সৌমেন মহাপাত্র পেয়েছেন সেচ ও জলপথ। মানসরঞ্জন ভুঁইয়া পেয়েছেন জলসম্পদ উন্নয়ন দফতর। মলয় ঘটকের হাতে থাকছে আইন ও বিচার দফতর। উজ্জ্বল বিশ্বাসের হাতেও কারা দফতর থেকে যাচ্ছে। অরূপ রায়ের হাতে থাকছে সমবায় দফতর। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় হচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী। ব্রাত্য বসুর হাতে যাচ্ছে স্কুল ও উচ্চশিক্ষা দফতর। পুলক রায় পাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতর। ফিরহাদ হাকিম পরিবহণের পাশাপাশি পাচ্ছেন আবাসন দফতর। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্রমন্ত্রী হচ্ছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। শশী পাঁজার হাতে থাকছে মহিলা, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর। গুলাম রব্বানির হাতে আসছে সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রাসা শিক্ষার দফতর। বিপ্লব মিত্র পাচ্ছে কৃষি বিপণণ দফতর। জাভেদ খানের হাতে থাকছে বিপর্যয় মোকাবিলা ও অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী পাচ্ছেন গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতর।স্বপন দেবনাথের হাতে থাকছে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন দফতর। খাদ্য ও সরবরাহ দফতর পাচ্ছেন রথীন ঘোষ। এবং যে সব সদস্য রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি তাদেরকে বিভিন্ন কমিটিতে রাখা হবে বলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *