স্বাস্থ্য দপ্তর এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিষেধক পর্যাপ্ত থাকার কথা বলা হলেও সঠিকভাবে সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে । যার ফলে শুক্রবার সকাল থেকেই মালদা শহরের কোঠাবাড়ি এলাকার মাতৃসদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সাধারণ মানুষের মধ্যে। সকাল থেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেও বেলা গড়িয়ে যাবার পরেও করোনার প্রতিষেধক পাচ্ছেন না বহু মানুষেরা বলে অভিযোগ উঠে। তারপরে শুরু হয় ব্যাপক ক্ষোভ বিক্ষোভ।
অপেক্ষারত মানুষদের অভিযোগ, সকাল সাতটা থেকে করোণা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে রয়েছি। অথচ দুপুর গড়াতেই বলে দেওয়া হলো ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। দ্বিতীয় ডোজ এর মেয়াদ কয়েক সপ্তাহ পর করা হয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। তাহলে সকাল থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার অর্থ কি। মুখচেনা কিছু মানুষদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অথচ সাধারণ মানুষেরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না বলেও অভিযোগ তুলেছেন। আর এই নিয়ে শুরু হয় শহরের ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যাপক বিক্ষোভ।
এদিকে এব্যাপারে মালদার সিএমওএইচ ডা: সব্যসাচী চক্রবর্তী জানিয়েছেন , করোনা প্রতিষেধক দেওয়া নিয়ে কোথাও কোন অভাব অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। সুষ্ঠুভাবে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এই প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষ ভ্যাকসিন না পাওয়ার যে অভিযোগ তুলছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারব না। তবে এখনও পর্যন্ত ৬০ বছরের উর্ধ্বে সিনিয়র সিটিজেন যারা রয়েছেন তাদের এক লক্ষ কুড়ি হাজার জনকে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। ৪৫ এর ঊর্ধ্বে প্রায় দেড় লক্ষ মানুষকে এই প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও সুষ্ঠুভাবে এই প্রতিষেধক দেওয়ার কাজ চালানো হবে।
এদিন সকালে মালদা শহরের কোঠাবাড়ি এলাকার মাতৃসদন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সকাল থেকেই কয়েকশো মানুষ করোনার প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য দীর্ঘক্ষন ধরে অপেক্ষা করেন। কিন্তু দুপুর গড়াতেই জানিয়ে দেওয়া হয় আজকের মত আর ভ্যাকসিন দেওয়া হবে না। আর এরপরই শুরু হয় ক্ষোভ বিক্ষোভ।