পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মচারীরা শুধু গোয়েন্দাগিরি করেই চুপ থাকেনা। তাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকে আতঙ্কবাদী সংগঠন গুলোর। একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, পাকিস্তানি হাইকমিশন কাশ্মীদের যুবকদের ভিসা দিয়ে সন্ত্রাসী ট্রেনিং এর জন্য পাকিস্তানে পাঠায়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৭ থেকে এখনো পর্যন্ত জম্মু কাশ্মীরের ৩৯৯ জন যুবককে পাকিস্তান হাইকমিশন ভিসা জারি করে পাকিস্তান পাঠিয়েছে। তাদের মধ্যে ২১৮ জন কাশ্মীরি যুবক এখনো নিখোঁজ। গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর অনুমান যে, ওই কাশ্মীরি যুবকদের সন্ত্রাসী ট্রেনিং দিচ্ছে পাকিস্তান।
৩১ মার্চ রাতে লস্করের পাঁচজন মুজাহিদ্দিন জম্মু কাশ্মীরের কেরন সেক্টর দিয়ে কাশ্মীরে প্রবেশ করে। লস্করের ওই মুজাহিদ্দিনরা প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র এবং গোলা-বারুদ নিয়ে বড়সড় হামলা করতে ভারতে ঢুকেছিল। তাঁরা সবাই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের দুধনিয়াল সেক্টর থেকে ভারতে ঢোকে। আর ওই পাঁচ সন্ত্রাসীকে ৫ এপ্রিল সকালে সেনা নিকেশ করে।
গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, ওই পাঁচজনের মধ্যে তিনজন স্থানীয় কাশ্মীরি ছিল। যাঁদের নাম আদিল হুসেইন মীর, উমর নজির খান আর সাজ্জাদ আহমেদ বলে জানা গেছে। এদের সবাইকে এপ্রিল ২০১৮ সালে পাকিস্তান হাইকমিশন ভিসা জারি করে পাকিস্তানে পাঠিয়েছিল।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের উপর আতঙ্কি লেবেল লাগার পর এবার পাকিস্তান কাশ্মীরি যুবকদের জেহাদি ফ্যাক্টরিতে পাঠাতে চাইছে। গোয়েন্দা সংস্থা গুলো যেই অথ্য পেয়েছে সেগুলো অনুযায়ী, পাকিস্তান কাশ্মীরি যুবকদের মাধ্যমে কাশ্মীরে পুলওয়ামার মতো আরও একটি বড়সড় হামলা করতে চাইছে।