করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি। ১৬ই জুলাই এই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লি সরকার। আগামী দিনের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই বড় কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরির ভাবনা।
এই কোয়ারানটিন সেন্টার আকারে একসঙ্গে ২০টি ছোট হাসপাতালের সমান হবে। এখানে থাকবে কার্ডবোর্ডের ১০ হাজার বেড। প্রতিটি বেড হবে পুনর্ব্য়বহারযোগ্য। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্ডবোর্ডের উপর করোনা ভাইরাস ২৪ ঘণ্টার বেশি বেঁচে থাকতে পারে না। তাই কার্ডবোর্ডের বেড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া এই কোয়ারানটিন সেন্টারে মোট ৪০০ জন চিকিৎসক থাকবেন। তবে ভেন্টিলেটরের কোনও ব্যবস্থা থাকবে না। সংকটজনক রোগীকে অন্যত্র পাঠানো হবে।
দিল্লি প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, হরিয়ানা সীমানার কাছে ছত্তরপুরে রাধা স্বামী উপাসনা কেন্দ্রে এই কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হবে। আগে সেখানে লকডাউনে আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকদের রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই এই কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি হয়ে যাবে বলে রাধা স্বামী উপাসনা কেন্দ্র সূত্রে খবর।
দেশের করোনা-তালিকায় মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুর পরেই নাম রয়েছে দিল্লির। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, রাজধানীতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্য়া প্রায় ২৮ হাজার। মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছুঁইছুঁই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দিল্লির স্বাস্থ্য পরিকাঠামো দিয়ে করোনার এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ সামলানো সম্ভব নয়।