বিবেক বনসাল, বিধানসভা নির্বাচনে ইউপিএল’র সাফল্যের মানুষ

ভোটদাতাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সোস্যাল মিডিয়ার ভূমিকা অপরিসীম। এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে একদল বিজেপি কর্মী বিপিএফ-এর বিতাড়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন। এই সোস্যাল মিডিয়া টিমের নেতৃত্ত্বে ছিলেন বিবেক বনসাল। তাঁর জন্যই বিধানসভা নির্বাচনে ইউপিপিএল দুর্দান্ত সাফল্য অর্জন করতে পেরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে তাঁর টিমের সদস্যরা ইউপিপিএল-এর প্রার্থীদের প্রতিশ্রুতির বার্তা তরুণ ভোটদাতাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। বিটিআর এলাকার সকল জেলায় মহিলাদের কাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে তাদের কঠোর পরিশ্রমের কারণে।

বিবেক বনসাল জানান, তাঁদের সাফল্যের পশ্চাতে রয়েছে ড. হিমন্ত বিশ্বশর্মা, ইউপিপিএল প্রধান প্রমোদ বড়ো ও ঢেকিয়াজুলির বিজেপি এমএলএ অশোক সিঙ্ঘলের নেতৃত্ত্ব। জোটের জয়ের জন্য সকলে তৃণমূল স্তরে কাজ করেছেন। তিনি শুধু টিমের একজন সদস্য হিসেবে তাঁর কাজ করেছেন। বনসাল বলেন, ভোটারদের সুসংহত করতে তাঁরা সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়েছেন এবং হাংরামা মোহিলারির দুর্নীতি ও অপশাসনের কথা ফাঁস করে দিয়েছেন। বিপিএফ-এর ১৭ বছরের শাসনকালে বোড়োল্যান্ড দুর্নীতি ও সাম্প্রদায়িক হাঙ্গামায় ছেয়ে গিয়েছিল। সেজন্যই তাঁরা চেয়েছিলেন হাংরামা মোহিলারি যেন আর ফিরতে না পারেন। প্রচারের ক্ষেত্রে মুখ্য নজর ছিল কোকরাঝার ইস্ট ও সিডলির দিকে, কারণ ওই দুই এলাকার বিদায়ী এমএলএ-রা অর্থ ও পেশীশক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনে জয়ের চেষ্টায় ছিলেন। বোড়োল্যান্ডের মানুষ ওইসব ক্ষমতালোভী, লুটেরা ও ব্যক্তিস্বার্থান্বেষী রাজনীতিকদের পুরোপুরি বর্জন করেছেন। বনসাল আশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সহায়তায় ও প্রমোদ বড়োর নেতৃত্ত্বে বিটিআর উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *