অবশেষে জল্পনার অবসান। বিধায়ক পদ ছাড়লেন নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। সাংসদ পদেই বহাল থাকবেন, ছাড়বেন দিনহাটা ও শান্তিপুরের বিধায়ক পদ। গত শনিবার দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার পরেই সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে।তাই দিনহাটা–শান্তিপুরে উপনির্বাচনের জন্য তলে তলে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার চিন্তা ভাবনায় রয়েছে বিজেপি।
বিধানসভা নির্বাচনে লোকসভার মোট চার সাংসদকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ভোটে হেরেছেন। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী উদয়ন গুহকে হারিয়ে দিনহাটা থেকে বিধায়ক হয়েছেন নিশীথ প্রামাণিক। শান্তিপুরে জয়ী হয়েছেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
ইতিমধ্যেই বিজেপি-র ৭৭ জন বিধায়কের সিংহভাগই বিধানসভায় এসে শপথ নিয়েছেন। কিন্তু সেই তালিকায় এখনও পর্যন্ত নেই নিশীথ প্রামাণিক ও জগন্নাথ সরকার। তা নিয়ে জল্পনা চললেও দু’জনেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই মেনে নেবেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপি-র এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই দুই সাংসদকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’
এদিকে মুর্শিদাবাদের দুটি আসনে ভোটই হয়নি। খড়দহ আসনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের কাজল সিংহের মৃত্যু হয়েছে। সেখানেও উপনির্বাচন হবে। নন্দীগ্রামে বিজেপি জয় পাওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কোনও একটি আসন থেকে জিতে আসতে হবে। মোট পাঁচ আসনে উপ-নির্বাচন হবে বলে সম্ভাবনা, এই পাঁচ কেন্দ্রের মধ্যে একটিতে দাঁড়াবেন মমতা ব্যানার্জি, অন্যদিকে আরও একটিতে দাঁড়াবেন অমিত মিত্র।