পুজোর মরশুমে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে মালদার ইকোপার্ক। ইতিমধ্যে আধুনিক সাজে সজ্জিত ইকোপার্কের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন শুধু শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। মালদা গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের এক পাশে প্রায় ৫০ বিঘা জমির উপর গড়ে উঠেছে এই ইকো পার্কটি। দুর্গা পুজোর মরসুমে পর্যটকদের ঘোরার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠবে এটি বলে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ইকোপার্কের তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা এখন খোলার অপেক্ষায়।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই ইকোপার্কটি। এই ইকোপার্কের থেকে সামান্য দূরেই রয়েছে আদিনা ডিয়ার ফরেস্ট । রাজ সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় গাজোল ব্লকের পান্ডুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আদিনা ইকোপার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। ইকোপার্কে পর্যটকরা বোটিং করতে পারবেন। বিভিন্ন রকমের ফল-ফুলের বাগানে সেজে উঠেছে গোটা এলাকা। সবুজের সমারোহ। বিভিন্ন ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। আদিনা ফরেস্ট ও মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় যেসব সরকারি জলাশয় রয়েছে সেগুলিকে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। সেখানে পর্যটকরা বোটিং করতে পারবেন। পুজোর আগেই তা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। লকডাউনের জন্য কাজ কিছুটা থমকে ছিল। এখন জোরকদমে চলছে পার্কের শেষ মুহূর্তের কাজ।
মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড় চন্দ্র মন্ডল বলেন, ২০১৮ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ মালদার এই নতুন ইকো পার্কের শুভ সূচনা করে গিয়েছিলেন । ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব ইকো পার্ক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। করোণা সংক্রমণ এবং লকডাউনের জন্য এই কাজ মাঝে কিছুটা থেমে গিয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতেই এখন জোর কদমে শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে। দূর্গাপূজার আগেই এই কপার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।