দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাত্রীকে পাশ করিয়ে দেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত অমিতাভ কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করল শিলিগুড়ি কলেজ পরিচালন সমিতি । ইউনিভার্সিটির গাইডলাইন মেনে আজ শিলিগুড়ি কলেজ পরিচালন সমিতি বৈঠকে বসে । জানা গিয়েছে এই বৈঠকে অধ্যাপক অমিতাভ কাঞ্জিলালকে নিয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমিতি । এদিন পরিচালন সমিতির বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান জয়ন্ত কর জানান যে , ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক তথা বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে আলাদা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত করবে । ছাত্রীর অভিযোগে এবং অডিও ক্লিপে অধ্যাপকের দশ হাজার টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার ঘটনায় যেভাবে শিলিগুড়ি কলেজের নাম কালিমাপ্ত হয়েছে তার বিভাগীয় তদন্ত করতে কলেজে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে । এই কমিটি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখবে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে । এদিকে অভিযুক্ত অধ্যাপককে শোকজ করা হবে এবং সঙ্গে লিখিত পত্র নেওয়া হবে । এই প্রক্রিয়া চলাকালীন শিলিগুড়ি কলেজের বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে অমিতাভ কাঞ্জিলালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । সেই সঙ্গে অনলাইন বা অফলাইন কোনো ক্লাস করাতে পারবেন না তিনি । কলেজের ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা হবে অভিযুক্তের নাম ।
সূত্রের খবর ওই বিভাগীয় কমিটি একজন চেয়ারম্যান এবং ৭ জন সদস্য নিয়ে গঠিত হয়েছে ।কমিটি আগামীকাল থেকে তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করবে । সূত্রের খবর বিভাগীয় তদন্ত কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে ঝিনুক দাসগুপ্তকে যিনি কলেজের রসায়ন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক । এছাড়াও এই কমিটিতে রয়েছেন সুপ্রকাশ রায়, জিনিয়া মিত্র, সহ সাতজন সদস্য ।
এদিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ও মাটিগাড়া থানায় এফআইআর করেছে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে এবং ইউনিভার্সিটিও সমস্ত রকম দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেয়েছে । শিলিগুড়ি কলেজের এই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব ও দাবি জানিয়েছেন । অডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ার পর যেভাবে চারিদিক থেকে যেভাবে তদন্তের দাবি এবং দোষ প্রমানে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে তাতে এখন এটাই দেখার তদন্ত কিভাবে এগিয়ে যায় । যতদিন না অভিযুক্ত কাঞ্জিলাল বাবু নির্দোষ প্রমান হচ্ছেন ততদিন কলেজে অধ্যাপনা করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন শিলিগুড়ি কলেজ পরিচালন সমিতি