নন্দীগ্রামে বিজেপির ‘হামলায়’ তৃণমূল কর্মী নিহত, গেরুয়া শিবির দায় থেকে বঞ্চিত

২৬ শে মার্চ, নন্দীগ্রামের বয়াল -২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বলরামপুরে তৃণমূল কর্মী রবীন্দ্রনাথ মান্না রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হন। শুক্রবার সকালে তিনি মারা যান।এই সংবাদটি প্রকাশের সাথে সাথেই তৃণমূল ও বিজেপির পাল্টা অভিযোগে নন্দীগ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভোট এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়েছিল। এরই মধ্যে এই মৃত্যুকে ঘিরে আবারও উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম। এবং এবারও বোয়াল বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। শুক্রবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সন্ধেয় মৃত রবীন্দ্রনাথের দেহ কলকাতা থেকে নন্দীগ্রামে তাঁর বাড়িতে আনার কথা। দেহ আনতে ইতিমধ্যেই কলকাতায় পৌঁছেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র।

এই মৃত্যুর জন্য বিজেপি-কেই দায়ী করেছে তৃণমূল। সৌমেন বলেন, “শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিতে চেয়েছিলেন বলেই বয়াল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩ জনের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়। মৃত রবীন্দ্রনাথের পরিবার অত্যন্ত গরিব। ও-ই ছিল পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। এটা অত্যন্ত অন্যায় হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের অভিযোগ উ়়ড়িয়ে দিয়ে বিজেপি। ঘটনাটিকে তৃণমূলের ‘গোষ্ঠী কোন্দল’ বলে মন্তব্য করেছে তারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *