দীর্ঘদিন পর বৈদ্যুতিক চুল্লির সংস্কার

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান । দীর্ঘদিন পর আজ বৈদ্যুতিক চুল্লির ফিতে কেটে কোচবিহার মানুষকে উপহার দিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ।সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হলো কোচবিহার মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি । আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি খুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, কোচবিহারের পুর প্রশাসক ভূষণ সিং, জেলা শাসক পবন কাদিয়ান, পুলিশ সুপার সানা আক্তার, অতিরিক্ত জেলা শাসক জ্যোতির্ময় তাঁতি, মহকুমা শাসক সঞ্জয় পাল সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। 

কোচবিহার পৌরসভার প্রয়াত পৌর প্রধান বীরেন কুন্ডুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মহাশ্মশানে এই বৈদ্যুতিক চুল্লি গড়ে ওঠে। এক বছরের বেশী সময় ধরে ওই চুল্লি বিকল হয়ে ছিল। ফলে মরদেহ দাহ করার জন্য সেই পুরানো পদ্ধতির অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছিলেন শহরের মানুষ। করোনা আবহে ওই বৈদ্যুতিক চুল্লির প্রয়োজনীয়তা আরও বেশী করে উপলব্ধি করেন শহরের মানুষ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী নিজের দফতরের ১ কোটি ৭৮ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে এই চুল্লি ফের নতুন করে পুনর্নির্মাণ করা হয়।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শুধু বৈদ্যুতিক চুল্লি সংস্কারই নয়, তার পাশে আরেকটি চুল্লি স্থাপন করা হয়েছে এবং তার পাশাপাশি মৃতদেহ দাহ করবার পর যাতে তার ছাই বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য নতুন করে আরও একটা চিমনি স্থাপন করা হয়েছে । মন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসকভূষন সিং ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *