কংগ্রেসের চিন্তা বাড়িয়ে গান্ধী পরিবার পরিচালিত তিন সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল ইডিকে ।কংগ্রেসের সঙ্গে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির গোপন আঁতাত নিয়ে বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকার সরব হয়েছিল আগেই। এবার আরও একধাপ এগিয়ে নেহেরু-গান্ধি পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন সহ তিনটি ট্রাস্ট্রের বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি, আর্থিক তছরুপ এবং বিদেশি অনুদান সংক্রান্ত নিয়মবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের নির্দেশ দিল মোদি সরকার। ইডির স্পেশাল ডিরেক্টরের নেতৃত্বে একাধিক মন্ত্রকের আধিকারিকদের নিযে গঠিত একটি কেন্দ্রীয় দল ওই তিনটি ট্রাস্টের কাজকর্মে কোনও আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে কিনা, তা তদন্ত করে দেখবে।
রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন ছাড়া বাকি দুটি ট্রাস্টের নাম রাজীব গান্ধি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এবং ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন এবং রাজীব গান্ধি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন হলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধি। ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের চেয়ারপার্সন হলেন কেরলের ব্যবসায়ী তথা রাজনীতিবিদ কেএম পারিথ। এই ট্রাস্ট কেরলে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালায়। ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়াল এই ট্রাস্টের অধীন। সোনিয়া গান্ধির তত্ত্বাবধানে ওই ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়ালের কাজ পরিচালনা হয়। ১৯৯১ সালে রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা হয়।
কংগ্রেসের দাবি, রাজীব গান্ধি ফাউন্ডেশন সহ তিনটি ট্রাস্ট সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তাদের আয়ব্যয়ের নিয়মিত অডিট হয়। তারা যে কোনও প্রতিহিংসাপরায়ণ তদন্তপ্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। কারণ, প্রতিদিন বিজেপি নেতৃত্ব একের পর এক নতুন ষড়যন্ত্র করছে। মোদি সরকারের ব্যর্থতাগুলি ঢাকার জন্য তারা মানুষের নজর ঘোরাতে চাইছে, বিভ্রান্ত করতে চাইছে। কংগ্রেস একইসঙ্গে আরএসএস ও বিজেপির আয়ব্যয়ের উপর তদন্তের দাবি তুলেছে।