গলায় তৃণমূলের উত্তরীয় আর জামায় বুকে জোড়া ফুলের ব্যাচ। এমত অবস্থায় বিভিন্ন বুথগুলোতে দাপিয়ে বেড়ালো হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে । আর এই তৃণমূল প্রার্থীকে ঘিরেই ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোন কথায় শোনেন নি ওই তৃণমূল প্রার্থী বলে অভিযোগ। কয়েকটি বুথে রীতিমতো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। জোর করে বুথের ভিতরে ঢুকে ভোট পর্ব খতিয়ে দেখেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে। কিন্তু সেই সময় তার গলায় দলেরই উত্তরীয় এবং জোড়া ফুলের ব্যাচ লাগানো ছিল । যাতে করে ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এই ঘটনায় হবিবপুরের বিজেপি প্রার্থী জুয়েল মুর্মু প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। দলের প্রতীক এবং সিম্বল গলায় জড়িয়ে এবং বুকে দলের জোড়া ফুলের প্রতীকী চিহ্ন লাগিয়ে কেন বুথের ভিতর ঘুরে বেড়াবেন তৃণমূল প্রার্থী, সে ব্যাপারেও প্রশাসনের কাছে লিখিত আকারে নালিশ করা হয়েছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে।
সোমবার নির্বাচন শুরু হতেই হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে তার কয়েকটি এলাকায় বুথগুলোতেই দলের প্রতীক গায়ে জড়িয়েই ঘুরে বেড়ান বলে অভিযোগ। ওই প্রার্থীর গলায় তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন এবং জোড়া ফুলের ছবি দেওয়া ছিল। যাতে করে ভোটারদের প্রভাবিত করা হয়েছে এমনই অভিযোগ উঠেছে। এই অবস্থায় কর্তব্যরত কয়েকটি বুথের কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে বচসা হয়। প্রার্থীকে দলীয় সিম্বল খুলে বুথের ভিতরে ঢোকার জন্য বলা হলেও সেই কথা শোনেন নি তৃণমূল প্রার্থী বলে অভিযোগ। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে বচসাও এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এব্যাপারে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী জুয়েল মুর্মু বলেন, দলের সিম্বল গায়ে নিয়ে বুথের ভিতর ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। এটা কখনোই বরদাশ্ত করা যায় না। কর্তব্যরত কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং অফিসারেরা বারণ করলের তৃণমূল প্রার্থী সে কথা শোনে নি। যেখানে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন, সেই বুথের ভিতরে তৃণমূলের দলীয় সিম্বল গায়ে জড়িয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তৃণমূল প্রার্থী । আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন কেউ এব্যাপারে নালিশ জানানো হয়েছে।
যদিও এ প্রসঙ্গে হবিবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ বাস্কে বলেন, যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, মোটেই সঠিক নয়। কোথাও কোনো রকম নিয়ম লঙ্ঘন করা হয় নি। কোনও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাথে আমার বচসা হয় নি । এখন বিজেপি নিজেদের অস্তিত্ব জাহির করতে আমার বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ করছে।