নয়াদিল্লি: দেশীয় না হোক, বিদেশি ফর্মুলায় তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ই তাই এখন ভরসা ভারতের। তাই হিউম্যান ট্রায়ালের চূড়ান্ত পর্যায় এখনও গবেষণাগারে থাকা সত্ত্বেও উৎপাদনে ছাড়পত্র দিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে আনার প্রস্তুতি শুরু করতে আর কোনও বাধা রইল না সিরাম ইনস্টিটিউটের। শুধু তাই নয়, সরকারি হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলিতে যাতে এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে দেওয়া যায়, তার প্রস্তুতি এবং খরচের হিসেব-নিকেশও শুরু হয়ে গেল।
অর্থাৎ ভারতে ‘কোভিশিল্ড’-এর ফেজ টু ও থ্রি ট্রায়ালের পাশাপাশি চলবে উৎপাদনও। আইসিএমআর অবশ্য জানিয়েছে, বিষয়টি ঠিক অনুকরণ নয়। সময় বাঁচাতে এটি ‘ক্যালকুলেটেড রিস্ক’।
ভারতে ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও উৎপাদন সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ে নজর রাখছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানী তথা আইসিএমআরের ‘এপিডেমিওলজি অ্যান্ড কমিউনিকেবল ডিজিজেস’ বিভাগের প্রধান ডাঃ সমীরণ পাণ্ডা। রবিবার তিনি বলেন, ‘অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিনের ফেজ থ্রির ট্রায়াল চলছে ব্রাজিলে। তাতে ইতিবাচক ফল মিলছে। অর্থাৎ এই ভ্যাকসিনটির এখনও পর্যন্ত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারই ভিত্তিতে ব্রিজিং স্টাডিজের মাধ্যমে আমরাও এগনোর চেষ্টা করছি।’
ভারতে এখন তিনটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এর মধ্যে দু’টি সম্পূর্ণ দেশীয়। আইসিএমআর এবং ভারত বায়োটেকের ‘কোভ্যাকসিন’। ক্যাডিলা কোম্পানির ‘জাইকোভ-ডি’। দু’টির ফেজ টু ট্রায়াল চলছে। ‘কোভিশিল্ডে’র ফেজ টু এবং থ্রি’র একসঙ্গে ট্রায়াল শুরু করছে সিরাম। সেই সঙ্গে উৎপাদনও।
কোভিডকে রুখতে ভ্যাকসিন ছাড়া আর কোনও গতি নেই। তাই যত দ্রুত সম্ভব বাজারে ভ্যাকসিন আনাই এখন একমাত্র লক্ষ্য মোদি সরকারের। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে সুরাহা দেওয়ার বিষয়টিকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র। আলোচনা চলছে রাজ্যগুলির সঙ্গে। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অবস্থান খুব স্পষ্ট—কোনও রাজ্যকে আলাদা করে ভ্যাকসিন কিনতে হবে না। কিনবে কেন্দ্রই।