করোনার আতঙ্ক থেকে বাঁচার জন্য ঘরমুখো হয়েছিল রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। হাতের কাজ ছেড়ে শুধু বাঁচার তাগিদ নিয়ে দীর্ঘ হাজার মাইল পথ হেটে অনেক কষ্টে ফিরেছিল বাড়ি ওরা। কিন্তু বাড়ি ফিরে আরো সমস্যায় শ্রমিকরা। রাজ্যে কাজ না পেয়ে একরকম চরম কষ্টের সম্মূখীন। বাধ্য হয়ে আবার পুরোনো ঠিকানায় ফিরছে ওরা। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে স্বীকার করে নিয়েছেন যে বাইরে থেকে ঘরে ফেরা শ্রমিকদের সবাইকে কাজ দিতে পারে নি এই করোনা অতিমারীর সময়কালে। তাই বাধ্য হয়ে করোনার ভয়কে নিয়ে আবার দুটো অন্নেরর খোঁজে ফিরছে কেরালা, গুজরাট, ব্যাঙ্গালোরে।
সূত্রের খবর অন্ডাল, বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিগত এক সপ্তাহ ধরে বিমানগুলিতে কোনো আসন ফাঁকা থাকেনি। এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতেও শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে ফিরছে পুরোনো কাজে। আশরাফুল হক, বিশ্বজিৎ বর্মনরা জানিয়েছে গ্রামে ফিরে কাজ পাচ্ছেন না রাজ্যসরকার একশোদিনের কাজ দিলেও তারা কাজ পাননি।প্রায় তিনমাস কর্মহীন ছিল। তাই বাধ্য হয়ে আবার ফিরতে হচ্ছে পুরোনো কাজে । তারা আরো জানিয়েছে যে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ধারদেনা করে বিমানের টিকিট কেটেছেন । তবে বাইরে গেলেও তারা তাদের পুরোনো কাজে যোগ দিতে পারবেন কিনা তাও সন্দেহ। কারন দেশের আর্থিক অবস্থা সামগ্রিকভাবে খারাপ। এরকম অবস্থায় ফাঁটা বাঁশের মাঝে পরার মতো অবস্থা শ্রমিকদের । চরম অনিশ্চয়তা নিয়ে শ্রমিকরা আবার যাত্রা করছে খাবারের খোঁজে।