গত কয়েকবছর ধরেই ধুমধাম করে পালিত হত গণেশ চতুর্থী । বড়ো বড়ো প্যান্ডেল, আলোকসজ্জা, ভোগ, বিসর্জনে বাঙালি দুর্গাপূজার আগে যেন আরেক উৎসবে মেতে উঠত । দুর্গোৎসবের মাত্র দেড় দুমাস আগে দম ফেলার সময় পেত না ডেকোরেটার্সরা । গত কয়েক বছর ধরেই শিলিগুড়িতে বিধান মার্কেট গণেশ পুজো কমিটি, এয়ারভিউ মোড় পুজো কমিটি, কলেজ পাড়া গণেশ পুজো কমিটি শহরে দাগ কেটে নিয়েছিল । কার্যত গণেশ পুজোর মধ্য দিয়েই শিলিগুড়িতে শুরু হয়ে যেত উৎসব মরসুমের সূচনা ।বিধান মার্কেট, সেবক রোড হিলকার্ট রোড,শালবাড়িতে বিগ বাজেটের পুজো গুলোতে চলত ভোজের আয়োজন ।কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে তছনছ সব ।
এবার নম নম করে সারতে হচ্ছে সিদ্ধিদাতার পুজো । লকডাউনে ব্যবসায় মন্দা, করোনা পরিস্থিতি সর্বোপরি পুলিশের অনুমতি না মেলায় এবার কোনোমতে হচ্ছে গণেশ দেবের আরাধনা । না আছে বড় মণ্ডপ, নেই বড় প্রতিমাও। মন খারাপ পুজো উদ্যোক্তাদের । যে জায়গা গুলিতে গণেশ পুজো হচ্ছে সেখানে মাত্র গুটি কয়েক লোকজন নিয়ে চলছে পুজোর আয়োজন ।করোনার বিধিনিষেধ মেনে স্যানিটাইজার, মাস্ক পরে হচ্ছে গণেশ পুজো ।
শিলিগুড়ির কুমোরটুলির মৃৎ শিল্পী নিরঞ্জন পাল জানান, দেড় থেকে তিন ফিটের বেশী উচ্চতার প্রতিমার বায়না পর্যন্ত আসেনি। বাড়ির পুজোর জন্যে ছোটো প্রতিমাই শুধু বিক্রি হয়েছে। বিধান মার্কেট গণেশ পুজো কমিটির অন্যতম উদ্যোক্তা বাপি সাহা জানান, প্রশাসনিক অনুমীদন না মেলায় বড় পুজো এবারে আর করা হল না। সব ঠিক থাকলে আসছে বছর আবার হবে।