সমগ্র রাজ্য জুড়ে বন্যার বিভীষিকা চারদিকে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে । সরকার যথাসময়ে বাঁধ নির্মাণের কাজ না করার জন্য বর্তমানে ২০ টি বাঁধ ভেঙে রাজ্যের নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যা প্রতিরোধ করার জন্য অসমে যে সমস্ত বাঁধ রয়েছে তার ৪৫০ টি বাঁধের মেয়াদ ফুরিয়ে গেছে ।
বছরের তৃতীয় পর্যায়ের বন্যা ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রায় ২ লক্ষ হেক্টর কৃষি জমির ক্ষতি সাধন করেছে । ২৪ টি জেলার ২০১৫ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। প্রায় ১৫ লক্ষ লোক প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এছাড়া রাষ্ট্রীয় উদ্যান কাজিরঙা এবং অন্যান্য অভয়ারণ্যগুলি বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় বন্য প্রাণীকুলের অবস্থাও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । উঁচু স্থানের সন্ধানে পাশ্ববর্তী পাহাড়ে বা জনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে আশ্রয় নিচ্ছে বন্য প্রাণীরা। প্রবল স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গৃহপালিত এবং বন্য প্রাণী । জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক সেতু । সব মিলিয়ে এক হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সাম্প্রতিক বন্যা । বন্যার সঙ্গে সঙ্গে ভূমিধসের ঘটনাও ঘটেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। ভূমিধসের ফলে রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে মাটিতে মিশে যাওয়ায় অসংখ্য পরিবারকে বাঁধ বা রাজপথে আশ্রয় নিতে হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে এক প্রলয়ঙ্করী রূপ ধারণ করেছে সাম্প্রতিক বন্যা ।
আম আদমি পার্টি অসমের বন্যা কবলিত বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। অসমের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে আম আদমি পার্টির সদস্যরা দলের অধ্যক্ষ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অবগত করেছেন। কেজরিওয়াল উদ্বেগ প্রকাশ করে অসমের দলীয় সকল সদস্যকে বন্যাক্রান্তদের পর্যাপ্ত সহায়তা করার অনুরোধ জানিয়েছেন ।