গত এক বছরের বেশি সময় ধরে দেশে তান্ডব চালাচ্ছে করোনা। গত বছরের থেকে চলতি বছরে আরও বেশি করে জাকিয়ে বসেছে দেশে করোনা সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আরও মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল দেশে। চারিদিকে হাহাকার চিত্র দেখা দিয়েছিল। এমনকি হাসপাতালগুলিতে বেড, অক্সিজেন, ওষুধের সঙ্কটও দেখা গেছে। সবচেয়ে বড় সঙ্কট হয়ে উঠেছিল অক্সিজেনের অভাব৷ কিন্তু এবার সরকারি হাসপাতালেই অক্সিজেনের ব্যাপক অপব্যবহারের অভিযোগ উঠল৷ স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। প্রয়োজনে অক্সিজেন পাচ্ছে না রোগী। কিন্তু যাদের অক্সিজেন প্রয়োজন নেই তাদের দেওয়া হচ্ছে লিটার লিটার অক্সিজেন। এমনই একগুচ্ছ বেনিয়ম এবং গাফিলতির ঘটনা সামনে এল রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে।
স্বাস্থ্য দফতরের পর্যবেক্ষকরা রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। তখনই তাদের চোখে পড়ে বেশ কিছু বেনিয়মের ঘটনা। দেখা গিয়েছে, প্রয়োজনে অক্সিজেন পাচ্ছেন না রোগী৷ আর যাঁদের অক্সিজেনের প্রয়োজন নেই তাঁদের দেওয়া হচ্ছে লিটার লিটার অক্সিজেন৷ অক্সিজেন স্যাচুরেশন ঠিক থাকা রোগীকেও ক্রমাগত অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে, হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার আনার পর সেই সিলিন্ডারে কত পরিমাণ অক্সিজেন রয়েছে সেসব নিয়ে হাসপাতালে ঠিকমতো রেজিস্টার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এমনই একগুচ্ছ গাফিলতির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হয়েছে প্রশাসন৷ এই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার সমস্ত হাসপাতালের আধিকারিকদের এবং মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ পাঠানো হয়েছে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অক্সিজেনের অপচয় রুখতে ইতিমধ্যেই দায়িত্ব বণ্টন করে দেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। সেখানে হাসপাতালের ইনচার্জ, নার্স থেকে অন্যান্য কর্মীদের আলাদা আলাদা করে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বেনিয়ম হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও স্বাস্থ্য দফতরের তরফে সতর্ক করা হয়েছে৷