২৬ বছরের আড়ম্বরপূর্ণ লক্ষ্মীপুজোয় এবার ছেদ কালিয়াগঞ্জে

দশমীর পরের দিন থেকে লক্ষীপুজোর আয়োজনে ব্যস্ত হয়ে পড়ত নরেশ বর্মন, গোকুল বর্মনেরা । পুজোর তিনদিন ধরে চলত মেলা , বাউলগান । পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও বহু মানুষ এই মেলায় ভিড় জমাত । স্থানীয়দের দাবি এই কালিয়াগঞ্জের ভান্ডার গ্রামের মা লক্ষী কাউকেও নিরাশ করেন না।

গ্রাম বাসিরা জানান আজ থেকে প্রায় ২৬ বছর আগে লক্ষ্মী পূজাকে কেন্দ্র করে গ্রামে বাউল উৎসব চলছিল সেই সময় গ্রামের কৃষক নরেশ চন্দ্র বর্মন ,স্থানীয় গোকুল চন্দ্র বর্মণের জমিতে চাষ করার সময় নরেশ বাবুর লাঙ্গলের ফলায় আটকে যায় একটি পাথর ।সঙ্গে সঙ্গে সে কোদাল দিয়ে পাথরটিকে তোলে। পাথরটি জল দিয়ে পরিস্কার করলে দেখা যায় কাল পাথরে খোঁদায় করা লক্ষ্মী নারায়নের মূর্তি। মূর্তি পাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই সেই গ্রাম থেকে এমনকি দূরদূরান্ত থেকে কয়েক হাজার লোক হাজির হয়ে যায় ঐ মাঠে । এরপর পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের বাসিন্দারা ঐ কাল পাথরের মূর্তিটিকে তাঁদের গ্রামে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে নিয়ে আসে।

খবর পেয়ে কালিয়াগঞ্জ থানা, জেলা প্রশাসন ও প্রত্নতাত্ত্বিকরা ছুটে আসে। মূর্তিটির পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায় সেটি কষ্টি পাথরের মূর্তি। মূর্তিটি লম্বায় প্রায় দের ফিট, চওড়ায় এক ফিট। প্রশাসনের তরফ থেকে মূর্তিটিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করা হলে গ্রামবাসীদের বাঁধার মুখে পরে প্রশাসনকে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়। এরপর পূর্ব ভাণ্ডার গ্রামের বাসিন্দারা একটি মন্দির বানিয়ে মূর্তিটির পূজো শুরু করে ২৫ বছর আগে। পূজোকে কেন্দ্র করে গ্রামের সমস্ত মহিলারা উপোষ থাকেন।

কিন্তু এবছর চিত্র টি একটু আলাদা করোনা আবহের কারণে। এবছর পূজা ছাড়া কিছুই হচ্ছে না।তাই গ্রাম বাসিদের মনে বিশাদের ছোয়া।তাই এবছর সরকারি বিধি মেনেই পূজো সম্পন্ন করা হবে বলে জানান পূজো কমেটির কোষাদক্ষ্য নিরঞ্জম রায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *