LAC-তে উত্তেজনার ফলে ভারতীয় স্থলসেনার (Indian Army) পর এবার বায়ুসেনাও (Indian Air Force) কোমর বেঁধে নামল। বায়ুসেনার সামনের সারির লড়াকু বিমান গুলোকে ফরোয়ার্ড এরিয়ায় রাখা হয়েছে। শ্রীনগর, লেহ, চণ্ডীগড় এর এয়ারবেস গুলোকে অ্যাক্টিভ করে দেওয়া হয়েছে। চীনকে (China) কড়া জবাব দিতে দরকার পড়লে শুখোই ৩০ এমকেআই (Sukhoi Su-30MKI) আর মিরাজ ২০০০ (Mirage 2000) এর মতো প্রথম সারির বিমান গুলোকে ব্যবহার করা হবে।
শুখোই ৩০ এমকেআই বায়ুসেনার প্রথম সারির যুদ্ধ বিমান। এই বিমানে অনায়াসে ব্রহ্মস মিসাইল যুক্ত করা যেতে পারে। ব্রহ্মস একটি সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল। আর এই মিসাইলকে জল, স্থল আর হাওয়া সব জায়গা থেকেই লঞ্চ করা যেতে পারে। চীনের কাছে এখনো পর্যন্ত এরকম কোন মিসাইল নেই। আর এই মিসাইলের রেঞ্জ ৩০০ কিমি পর্যন্ত। সীমান্তে চীনের সাথে উত্তেজনা বাড়ার পর এই মিসাইলকে ব্যবহার করার ছাড়পত্রও দেওয়া হয়েছে।
ব্রহ্মস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলকে দিন, রাত, রৌদ্র, বৃষ্টি, শীত যেকোন সময় আর যেকোন আবহাওয়ায় লঞ্চ করা যেতে পারে। এর মারক ক্ষমতা একদম অচুক। শুখোই ৩০ এমকেআই যুদ্ধ বিমানে এই মিসাইলের সফল পরীক্ষণ হয়ে গেছে।
আরেকদিকে মিরাজ ২০০০ অত্যাধুনিক লড়াকু বিমান। এই বিমান নিয়েই বায়ুসেনার দল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালোকোটের জঙ্গি শিবির উড়িয়ে দিয়েছিল। এই বিমান সর্বাধিক ২০০০ কিমি প্রতি ঘণ্টা পর্যন্ত গতিতে উড়তে আপ্রে। কার্গিল যুদ্ধে মিগ-২১ এর সাথে মিরাজ ২০০০ যুদ্ধ বিমান গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছিল।
মিরাজে নতুন র্যাডার আর ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম লাগানো হয়েছে। আর এরফলে এই বিমানের মারক ক্ষমতা আরও বেড়ে গেছে। মিরাজ-২০০০ যুদ্ধ বিমানে দুটি ইঞ্জিন আছে। একটি ইঞ্জিন ফেল হলে আরেকটি কাজ করবে। আর এর ফলে বিমান এবং পাইলট দুজনেই সুরক্ষিত থাকবে। একদিকে যেমন এই মিসাইল বেশি বোমা আর মিসাইল ক্ষেপণ করতে সক্ষম। তেমনই আরেকদিকে শত্রুদের বিনাশ করতে এই বিমানের জুরি মেলা ভার।