দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থা ইতিমধ্যেই ১২টি রুট চিহ্নিত করেছে কলকাতার পথে সাইক্লিং জোন ও সাইক্লিং পথের জন্য। যার মধ্যে প্রাথমিকভাবে ছ’টি রুট চূড়ান্ত হয়েছে। সেগুলি হল, হাওড়া থেকে ধর্মতলা, বেহালা-ধর্মতলা, বেহালা-সেক্টর ফাইভ, ধর্মতলা থেকে সল্টলেক, শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা এবং খিদিরপুর-হাওড়া। এই ছ’টি রুটের বাইরে আরও ছ’টি রুট নিয়ে আলোচনা চলছে। কলকাতা পুরসভা ও কেএমডিএ সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শহরের রাস্তায় ডেডিকেটেড সাইকেল ট্র্যাক তৈরি করতে প্রতিটি রাস্তায় অন্তত দু’শতাংশ জায়গা প্রয়োজন। তেমনটাই সার্ভেতে উঠে এসেছে।
যে রুটগুলি প্রাথমিকভাবে স্থির করা হয়েছে, সেখানে কোন কোন রাস্তা দিয়ে সাইকেল চলবে, কোথায় কোথায় কীভাবে ক্রসিং লাইন টানা হবে, সেটা খতিয়ে দেখছে সমীক্ষক সংস্থা। সেই সব রাস্তা থেকে প্রয়োজনে পার্কিং লট সরানো হবে। পাশাপাশি সেইসব রাস্তার কিছু অংশে হকারদের দু’দিকের বদলে একদিকে সারিবদ্ধভাবে বসানোর ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। পার্কিং সরানো হলে সেক্ষেত্রে বিকল্প কী, তা নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে কেএমডিএ। সবদিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখেই রোডম্যাপ তৈরি করছে তারা।
মুখ্যমন্ত্রীর ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে কেএমডিএ হাতে নেয় এই প্রকল্প। সেই সূত্রেই গত ডিসেম্বর মাসে কনসালটেন্সি এজেন্সি নিয়োগ করতে টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেখানে বরাত পায় দিল্লির একটি সংস্থা। তৈরি হয় সাত সদস্যের কমিটি। কেএমডিএ, কলকাতা পুরসভা, কলকাতা পুলিস, কনসালটেন্সি এজেন্সি, খড়্গপুর আইআইটি এবং পরিবহণ দপ্তরের সদস্যরা রয়েছেন তাতে। সমীক্ষার পর এজেন্সি এই কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই চূড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে। এমনিতেই শহরের বেশিরভাগ সব রাস্তা খুব একটা চওড়া নয়। তাই সবদিক ভেবেচিন্তেই মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে।