সরকারি প্রাথমিক স্কুলকে গুঁড়িয়ে দিল এলাকার একদল প্রমোটার

আস্ত একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলকে গুঁড়িয়ে দিল এলাকার একদল প্রমোটার। ঘটনায় কেউ মুখ না খুললেও মালদার দশ নম্বর ওয়ার্ডে চাপা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। জানা গিয়েছে দীর্ঘদিন ধরে বেহাল পরে থাকা একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রাতারাতি।ধূলিসাৎ করে দিয়ে জমি দখল করে বিল্ডিং বানানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল শহরের একদল প্রভাবশালী প্রমোটারের দল। যদিও এই ওয়ার্ডে থাকেন প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী তথা পুরসভার কোর্ডিনেটর তবুও এই বিষয়ে কিছু স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেন নি প্রাক্তন মন্ত্রী। এই ঘটনায় এলাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়তে বর্তমানে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছে এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রোমোটারের টাকা সব রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে ঢোকে ফলে এই বিষয়ে সব নেতার মুখ বন্ধ। পুরো ঘটনাটি ডিআইকে জানানো হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কালিতলা এলাকায় অবস্থিত রয়েছে  প্রায় তিন কাঠা জমির উপর ছাত্রবন্ধু প্রাথমিক এই স্কুলটি। প্রায় ৬১ বছরের পুরনো বর্তমানে স্কুলে ৪০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন দুইজন। লকডাউন থেকেই এই স্কুলটি বন্ধ ছিল।  যার ফলে ওই স্কুলটির যাবতীয় কাজকর্ম পাশের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে রাতারাতি স্কুলটি কে বা কারা ভেঙে গুঁড়িয়ে ময়দান তৈরি করে দিয়েছে, তা নিয়েই এখন বিস্তর অভিযোগ উঠেছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  বহু বছর আগে এলাকাটি তৎকালীন জনৈক এক ব্যক্তি প্রাথমিক ওই স্কুলটি তৈরির জন্য জমিদান করেছিলেন । তারপর থেকেই এই স্কুলটি চলে আসছিল। কিন্তু বিষয়টি গত মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।  প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানতে পারে যে এলাকার স্কুল ভবনটি ভেঙে গুঁড়িয়ে ময়দান করে দেওয়া হয়েছে। তারপরই মঙ্গলবার জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শক (ডিআই) এব্যাপারে ইংরেজবাজার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

ডিআই সুনীতি সাঁপুই জানিয়েছেন , কিভাবে স্কুলটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো, কারা এই ঘটনার পিছনে জড়িত সেই সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার করে কিছু জানতে পারি নি। তবে সরকারি একটি স্কুল ভেঙে দেওয়া হয়েছে । তারই পরিপ্রেক্ষিতে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকেও বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *