লাদাখে LAC এর গালওয়ান ঘাঁটিতে ভারতীয় সেনা আর চীনের সেনার মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহীদ হয়েছিলেন, আর চীনের ৪৩ জন জওয়ান নিকেশ হয়েছিল। যদিও চীন তাদের মৃত জওয়ানদের সংখ্যা নিয়ে কিছুই বলতে চায়নি। কিন্তু মিডিয়া রিপোর্টে জানা যায় যে, দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর চীনের সেনার দেহ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল, আর ভারতীয় সেনা সেগুলো সন্মানীয় ভাবে চীনের সেনার হাতে তুলে দেয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, গালওয়ান উপত্যকার পাশে পেট্রোলিং পয়েন্ট ১৪ তে ১০০ ভারতীয় সেনার একটি দল চীনের ৩৫০ জনের বেশি সেনার সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়ে। ১৫-১৬ জুন হওয়া এই সংঘর্ষে গালওয়ান নদীর তীরে চীনের সেনার লাশ এদিক ওদিক পড়েছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংঘর্ষের পর ভারতীয় সেনা চীন জওয়ানদের মৃতদেহ চীনের হাতে তুলে দেয়। বিহার রেজিমেন্ট লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় চীনের সেনার একটি পোস্ট হটানোর কথা বললে, এই সংঘর্ষ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গালওয়ান নদীর তীরে চীনের একটি সেনা পোস্ট নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। চীনের সাথে কথাবার্তার সময় ওই পোস্টের কথাও উল্লেখ করা হয়। আর সেই পোস্ট সরানো নিয়ে চীনের সাথেও চুক্তিও হয়। কথাবার্তার পর চীন ওই পোস্ট সরিয়েও দিয়েছিল, কিন্তু সেখান থেকে চীনের সেনা সরে যায় নি। আর এই বিষয়ে কথা বলার জন্য কর্নেল সন্তোষ বাবু ৫০ জন জওয়ানকে নিয়ে সেখানে পৌঁছায়।
আর এরপর ভারতের সেনা সেখান থেকে কথাবার্তা বলে চলে আসে। কিন্তু চীন সেই সময় গালওয়ান উপত্যকায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন সঙ্গীকে ডেকে নেয়। তখন ভারতের আরেকটি পেট্রোলিং দল সেখানে পৌঁছায় আর দেখে চীনের অনেক সেনা সেখানে জড় হয়েছে। এরপর চীনের সেনারা ভারতীয় সেনার উপর পাথর দিয়ে হামলা করার জন্য প্রস্তুত হয়।
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, জখনইই দুই পক্ষের মধ্যে কথাবার্তা শুরু হয়, তখন এই মামলা আরও গরম হয়ে যায়। ভারতীয় সেনা সেখান থেকে চীনের তাবু আর উপকরণ তুলে ফেলার কাজ শুরু করে। আর চীনের জওয়ানরা ভারতীয়দের উপর হামলা করার জন্য তো আগে থেকেই তৈরি ছিল। তাদের প্রথম হামলা ১৬ বিহার রেজিমেন্টের হাবিলদারের উপর করা হয়েছিল। হাবিলদার পলানি আহত হয়ে যান চীনের হামলায়, আর এরপর বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানরা খভে ফেটে পড়ে। এরপর চীনের সেনা ভারতীয়দের উপর পাথর ছোঁড়া শুরু করে, আর ভারতীয় জওয়ানরা অদম্য সাহস দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর এই সংঘর্ষে চীনের অনেক সেনা মারা যায় এবং অনেকজন আহত হয়ে পড়ে।
আগামী দিন পরিস্থিতি অপেক্ষাকৃত সামান্য হয়, তখন দেখা যায় যে চীনের সেনার লাশ এদিক ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরপর চীনের হাতে তাদের জওয়ানদের লাশ তুলে দেয় ভারতীয়রা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংঘর্ষে ১০০ জন ভারতীয় জওয়ান ছিল, আর চীনের প্রায় ৩০০ থেকে ৩৫০ জন জওয়ান ছিল।