লাক্ষাদ্বীপ থেকে ৫.৪৫ কোটি টাকার সামুদ্রিক শশা সহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে বন দপ্তর। লাক্ষাদ্বীপের জনশূন্য পেরুমাল পার আইল্যান্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। সবকটি প্রাণী মৃত বলে জানিয়েছে বনদপ্তর। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি নৌকা। ধৃতদের কাছ থেকে মোট ৪৮৬টি মৃত সামুদ্রিক শশা উদ্ধার হয়েছে। ধৃতরা তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারীর বাসিন্দা জুলিয়াস নয়াগাম পি, দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা জগন্নাথ দাস, পশ্চিমবঙ্গের পরান দাস, ত্রিবান্দ্রামের সজন, অগতির আব্দুল জাব্বার, মহম্মদ হাফেলু, সাকলিন মুস্তাক। বাজেয়াপ্ত হওয়া দুটি নৌকার একটি তামিলনাড়ু ও একটি লাক্ষাদ্বীপে নথিভুক্ত।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে টহলদারি চালাচ্ছিলেন তিনাকারা অ্যান্টি-পোচিং ক্যাম্পের লাক্ষাদ্বীপ মেরিন ওয়াইল্ডলাইফ প্রটোকশন ফোর্সের সদস্যরা। তাঁরাই সেখানে চোরাশিকারীদের দু’টি নৌকা দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় দ্রুত চোরাশিকারীদের কাছে পৌঁছোয় লাক্ষাদ্বীপ মেরিন ওয়াইল্ডলাইফ প্রটোকশন ফোর্সের সদস্যরা। বিপদ বুঝে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করে। পিছু ধাওয়া করে চোরাশিকারীদের ওই দুটি নৌকা আটকাতে সক্ষম হয় টহলদারিরা।
ধৃতদের অগতি রেঞ্জ অফিসের হেডকোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭২ এর ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটোকশন আইনের অধীনে এফআইআরের সমতুল ওয়াইল্ডলাইফ অফেন্স রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছে। আমিনি আইল্যান্ডের জেএমএফসি আদালতে পেশ করা হবে।