দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে বিরাট সংখ্যক সম্পত্তি হাত ছাড়া হওয়ার পর থেকেই চীন ফাইভ ফিঙ্গার পলিশি চালু করে। ১৯৪৯ সালে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর পার্টির প্রধান মাও সে তুং এই ফাইভ ফিঙ্গার পলিশি তাঁদের পশ্চিমে চালু করার প্রস্তাব দেন। এই পদ্ধতির প্রয়োগ করে তারা চেয়েছিল হারানো জমি পুনরুদ্ধার করতে।
লাদাখ, নেপাল, ভুটান, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ ছিল এই পাঁচটি জায়গা, যা চীন ফের কুক্ষিগত করতে চেয়েছিল। যাকে একত্রে ফাইভ ফিঙ্গার পলিশি বলছে। এই প্রসঙ্গে মাও সে তুং সর্ব সমক্ষে জানিয়েছিল ভারত, নেপাল এবং ভুটান এই তিনটি দেশ চীনে যেসকল অঞ্চল দখল করেছে, তা তিনি ফিরিয়ে আনবেই।
পূর্বেকার সেই মন্ত্র এখনও জপ করে চলেছে চীন। সেই থেকে এখনও অবধি প্রতি বছর কিছু না কিছুই সীমা বিবাদে জড়িয়েছে চীন সরকার। পাশাপাশি ভারতের সাথেও সংঘর্ষ চালিয়ে যাচ্ছে। তবে ভারতের কোন সরকারই বলে নি যে চীন ভারতের জমি অধিগ্রহণ করছে। তবে কিন্তু লাদাখ এবং অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত এলাকার অধিবাসীরা জানিয়েছে, চীন বহুবার তাঁদের অঞ্চলের জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু নেপাল, ভুটান এমনকি ভারত সরকারও কোন সময় কোনোরকম আক্রমণাত্মক ভূমিকা গ্রহণ করেনি চীনের বিরুদ্ধে।
তবে এবার সময় এসেছে রুখে দাঁড়ানোর। চীনের এই ফাইভ ফিঙ্গার পলিশির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। নাহলে ধীরে ধীরে ড্রাগনের দেশ হস্তগত করে নেবে গোটা বিশ্বটাকে। সেই কারণে সর্বদা ভারতকে এগিয়ে থকতে হবে। সব দিক থেকে চীনের থেকে এগিয়ে ভারতীয় সেনারা। এবার সেটাকেই কাজে লাগাতে হবে। তীব্র কন্ঠে প্রতিবাদ জানাতে হবে ড্রাগনের কুকর্মের বিরুদ্ধে।