যৌনাঙ্গে আঘাত করে বৌদিকে খুন করল দেওর

নব গৃহবধুকে কুপ্রস্তাব এবং কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় শারীরিক নির্যাতন এবং যৌনাঙ্গে আঘাত করে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই পলাতক দেওর ,স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এই ঘটনায় মালদার ভুতনি জেলায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন।

সূত্রের খবর বিহারের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা মন্ডলের সঙ্গে গত দুবছর আগে সামাজিক মতে বিয়ে হয় মালদার ভুতনি থানার বাসিন্দা ফটিক মন্ডলের সঙ্গে। বিয়ের আগে মেয়েটির অন্য কারো সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একথা জানতে পেরে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূকে নির্যাতন শুরু করে।

দেওরের কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করেছিলেন বৌদি । আর তারই বদলা নিতে  বৌদির পেটে ও যৌনাঙ্গে আঘাত করে খুন করার অভিযোগ উঠলো দেওরের বিরুদ্ধে । বৃহস্পতিবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ভুতনি থানার দমনটোলা এলাকায় । এই ঘটনায় মৃত গৃহবধূর পরিবার জামাই সহ শশুর বাড়ির পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ভুতনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তেরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। 

ওই গৃহবধূর অভিযোগ বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পারিবারিক অশান্তির জেরে মেয়েকে হামেশাই স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা মারধোর করতো। তিনি আরো জানান,  ফটিক মন্ডল স্থানীয় এক মহিলার সাথে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনাটি জানতে পেরে প্রিয়াঙ্কা প্রতিবাদ করলে তার ওপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। এই ঘটনাটি জানতে পেরে তারা মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে আসে।  স্থানীয়দের তৎপরতায় সালিশি করে সমস্যার সমাধান করে। 

মৃত গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, সম্প্রতি দেওর সাহেব মন্ডল তার বৌদিকে বারবার কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। আর এই নিয়ে প্রতিবাদ করলে প্রিয়াঙ্কাকে বেধড়ক মারধর করা হতো। বুধবার রাতে ফের দেওর সাহেব মন্ডল বৌদিকে কুপ্রস্তাব দেয়। আর তাতে রাজি না হওয়ায় বৌদিকে মাটিতে ফেলে পেটে, মুখে লাথি মারতে থাকে। এমনকি যৌনাঙ্গ আঘাত করা হয়।

 ভুতনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি ও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *