বদলে গেল ২১ জুলাই, তৃণমূলের চিরাচরিত ‘শহিদ দিবস’ পালনও এবার আর ধর্মতলার মোড়ে পালিত হবে না। তবে, সেখানে বরাবরের মতো শহিদ বেদি তৈরি করা হবে। কলকাতার নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে বক্তব্য রাখবেন। ভার্চুয়ালি সেই বক্তব্য পৌঁছে যাবে বাংলার কোণায়-কোণায়। সামাজিক দূরত্ব মেনে দেওয়া হবে শহিদ বেদীতে মালা ।বুথ ভিত্তিক সভায় সাধ্যমতো উপস্থিত থাকবেন বিধায়ক সংসদরা । দলনেত্রীর ভাষণ শোনাতে জায়ান্ট স্ক্রিন ব্যবহার করা হবে বেশ কিছু জায়গায় ।।
আগামী ৬ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই প্রতি বুথে বাড়ি বাড়ি যাবেন দলীয় কর্মীরা । হাতে থাকবে প্ল্যাকার্ড । গ্যাস , তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ স্লোগান লেখা হবে ওই প্ল্যাকার্ডে । এছাড়া রেল বেসরকারিকরণ ও কয়লার ১০০ শতাংশ FDI নিয়েও প্রতিবাদের সুর চড়াতে চলেছে তৃণমূল ৷ এই নিয়ে একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়েছে দল৷ ৭ জুলাই রেলের বেসরকারিকরণ নিয়ে ৭ জুলাই বিভিন্ন রেলওয়ে স্টেশনে চলবে বিক্ষোভ ৷ ৮ জুলাই চলবে তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে রয়েছে প্রতিবাদ কর্মসূচি ৷ কয়লা সেক্টর ১০০ শতাংশ বিদেশি বিনিয়োগের জন্য খুলে দেওয়ার প্রতিবাদে ৯ জুলাই প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের ৷ কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেও হস্তক্ষেপ করছে সরকার, এর প্রতিবাদেও ১০ জুলাই কিছু কর্মসূচি রয়েছে দলের ৷
উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করে ইতোমধ্যে ভার্চুয়াল সভা শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভা করে তৃণমূলের বিদায়ঘণ্টা বাজানোর কথা বলেছেন। এবার সেই ভার্চুয়াল পথেই আসরে নামছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।