লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুলহার নদীর জলের স্রোতে ভেঙে গেল বাঁশের সেতু । রবিবারে বিকাল এই ঘটনার পর সোমবার থেকে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন দুই পারের বাসিন্দারা । প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভরা নদী এখন নৌকা করে যাতায়াত করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামবাসীরা । তাদের বক্তব্য নদীর ওপারে রয়েছে বিহার দুইপারের বাসিন্দারা এই অস্থায়ী বাঁশের সেতু দিয়ে চলাচল করতেন কিন্তু ভোলাহাট নদীর জল বাড়তেই ভেঙে গিয়েছে এই অস্থায়ী বাঁশের সেতুটি।
এদিকে সেচ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জেরে ফুলহার নদীর জল বিপদসীমার ছুঁয়েছে। এই নদীর জলস্তর চরম বিপদসীমা ২৭.৪৩ মিটার । কিন্তু বর্তমানে ওই নদীর জলস্তর রয়েছে ২৮.৩৫ মিটার । ইতিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মিরপাড়া সহ কয়েকটি এলাকায় নদীর জল ঢুকতে শুরু করেছে । ফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামবাসীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুরো বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
মীরপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের বক্তব্য ওই এলাকার বহু মানুষ হরিশ্চন্দ্রপুরে এই অস্থায়ী সেতু দিয়েই যাতায়াত করেন এপার থেকেও বহু মানুষ ওপারে যায়। কিন্তু এখন এই সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চরম সমস্যা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে এই অস্থায়ী সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নদীর জলের স্রোতে বাঁশের এই সেতুটি ভেঙে গিয়েছে।