এবারের করোনা পরিস্থিতি মানুষের আর্থিক, সামাজিক অবস্থাকে একেবারে আমূল বদলে দিয়েছে।দীর্ঘ ছয়মাস ধরে দেশের আর্থিক পরিস্থিতি তলানিতে, ব্যবসায় মন্দা, কারখানায় কর্মীছাটাই সর্বোপরি সাধারণ মানুষের দুরাবস্থা এবং করোনার কথা বিবেচনা করে এবার জাঁকজমক ভাবে হবে না বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। সেইসঙ্গে রাজ্যসরকারের নির্দেশিকা এবারের প্যান্ডেলের ভিতরের ঢুকে ঠাকুর দেখার মতো মন্ডপ তৈরি না করার কথা জানিয়েছে।এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের সমস্ত ক্লাবগুলি তাদের পুজো বাজেট অর্ধেক কমিয়ে আনছে। অনাড়ম্বর পুজো করে বাকি টাকা গরিব মানুষদের সেবা মূলক কাজে খরচ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উত্তরের একাধিক নামকরা পুজো ক্লাব।
উত্তরা ক্লাবের পুজোর মঙ্গলবার খুটি পুজোর মধ্য দিয়ে পুজোর মণ্ডপের কাজের সূচনা হল। করোনা থাকায় ধুমধাম না করে সাধারণ ভাবেই পুজো করা হবে দাবি ক্লাবের পুজো উদ্যোক্তাদের। নিয়ম মেনে ৮০ হাজার টাকার মধ্যে পুজো করা হচ্ছে। অন্যদিকে এলাকা বাসী যারা যেরকম চাঁদা দেবে সেরকম চাদা গ্রহণ করা হবে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা মত ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে এতে পুজো কমিটি অনেক সুবিধে হবে নেমে নিয়েছে পুজো কমিটি। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, পুজোর বাজেট কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। গরিবদের সাহায্য করা হবে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।