একাধিক জামিন অযোগ্য মামলায় গত তিনবছর ধরে আত্মগোপন করেছিল এতদিন । মোর্চার অন্দরে অন্দরে ভাঙন ধরিয়ে একে একে বিমল বিরোধীকে কাছে টেনে জিটিএকে নিজের অনুগত করেছিল রাজ্যের শাসক গোষ্ঠী । পাহাড়ের রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে পুলিশ সুপার অমিতাভ ঘোষের মৃত্যুর পর জেল হেফাজত এড়াতে আর পাহাড়ে জনসমক্ষে দেখা যায়নি বিমলকে । তার ঘনিষ্ঠ অমিত -বিনয়রা টিএমসিকে সমর্থন করে জিটিএ চালালেও বিমলের পাহাড়ে ফেরার রাস্তা ক্রমশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এর পর বিমল গোষ্ঠীর নেতারা রাজ্য এবং কেন্দ্র র একাধিক নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন বিমলের ভাগ্য ফেরাতে । এরপর পাহাড়ে অনেক শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গিয়েছে । গতকাল হঠাৎ কলকাতার গোর্খাভবনে এবং পরে একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিকদের সামনে পাহাড়ের রাজনীতিতে ফিরতে ফের তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করার কথা জানাল বিমল ।
এদিকে বিমল প্রকাশ্যে আসতেই শীতের আগে পাহাড়ের পরিস্থিত যে গরম হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । পাহাড়ে ইতিমধ্যে মোর্চা তথা বিমলের বিরোধীরা জানিয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করতে চেয়ে নিজেকে গব্বর করে তুলল। যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়ে পাহাড়কে অচল করে দিল এখন তাদেরই হাত ধরে নিজেকে বিশ্বাসঘাতক প্রমাণ করছে বিমল । সূত্রের খবর কোনো উপায়ান্তর না দেখে তৃণমূলের সঙ্গে সন্ধি করে মামলা গুলি তুলতে চাইছে বিমল ।যাতে পরবর্তীকালে আবার রাজনীতির আঙিনায় ফিরতে পারে । বিমলের সন্ধির প্রস্তাবে তৃণমূলের পক্ষে এখনো কিছু জানা না গেলেও আগামী আসন্ন বিধানসভার আগে এই সুবিধা লুফে নেবে শাসক গোষ্ঠী । বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে টিএমসির দিকে ঝুঁকে আপাতত নিজের জমি শক্ত করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিমল এবং তার গোষ্ঠীরা ।