করোনা সংক্রমণ রুখতে দীর্ঘদিন ধরে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে লকডাউন চলছিল। যার ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। আনলক-১ ঘোষণার পর বেশিরভাগ সরকারি অফিস খুলে যায়। আর বাস চলাচল সেই ভাবে না হওয়ায় বিরাট অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল অফিস যাত্রীদের। আনলক-১ ঘোষণার পর থেকেই বাসমালিকরা পরিবহন দফতরকে বাসভাড়া বাড়ানোর কথা বলেন। পরিবহন দফতরও ভাড়া বাড়ানো নিয়ে চিন্তা করার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু পরিবহন দফতর ভাড়া বৃদ্ধি না করায় গতকাল শুক্রবার থেকেই বন্ধ হয়ে গেল প্রায় ৪০ টি রুটের বেসরকারি বাস-মিনিবাস।
যার ফলে গতকাল বিকেল থেকেই সংকটে পড়তে হয়েছে অফিস ফেরত যাত্রীদের। বাসমালিকদের দাবি, বাস রুটে নামিয়ে কোনো লাভই নেই বরং খরচ উঠছে না। পরিবহণ দপ্তরের এক্সপার্ট কমিটি গতকাল দুপুরে বাস সংগঠনের হেডদের সাথে অনেকক্ষন আলোচনা করে। এই কমিটি বাসমালিকদের আয় কিভাবে বৃদ্ধি পাবে সেই বিষয়ে কথা বলেন কিন্তু ভাড়া বাড়ানো বিষয়ে সেরকম সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাস মালিকরা জানিয়েছে , ট্রেন চলাচল শুরু হলে যাত্রীচাপ কিভাবে সামাল দেওয়া যায় সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে পরিবহণ দপ্তরের এক্সপার্ট কমিটির সাথে। সেক্ষেত্রে কথা হয়েছে দুটি বাসের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমিয়ে ঘনঘন বাস চালানোর মাধ্যমে বাসের ট্রিপ বাড়াতে হবে। ফলে বাসের আয়ও বাড়বে আর যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষা করতে হবেনা।
জানা গেছে, শুক্রবার থেকে ২৩০, ২১৪, ২১৪এ, ৩০এ, ৩০এ/১, ২০২, ৭৮, ৭৮/১, ৩২এ, ২৩৪, ৩সি/১-সহ আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রুটের বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই বাসগুলোর বেশিরভাগ উত্তর শহরতলীর সাথে কলকাতার যোগাযোগ রক্ষা করে। ফলে এই বাসগুলো বন্ধ থাকলে ডানলপ, সোদপুর বারাকপুর, দমদম, সিথির মোড়, চিড়িয়ামোড় এলাকার যাত্রীরা খুব অসুবিধার মধ্যে পড়বেন। ওয়েস্টবেঙ্গল বাস-মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু। তিনি জানান , “সরকারের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা আছে। দেখা যাক কি হয়! তবে ভাড়া না বাড়ালে মালিকদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”