দেশে ফের বাড়তে শুরু করছে দৈনিক করোনা সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে এবার মেট্রো যাত্রায় মাস্ক বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। মেট্রোতে উঠলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হল। মাস্ক ছাড়া আর কোনওভাবেই মেট্রোতে চড়ার অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণ বাড়ায় যাত্রীদের মাস্ক পরা নিয়ে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি, সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা, স্যানিটাইজার ব্যবহার করতেও বলা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কেউ মেট্রোয় উঠলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে কারণে বুধবার থেকে প্রত্যেক স্টেশনে শুরু হয়েছে মেট্রোর প্রচার।বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি জানান, অবিলম্বে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী না হলে ৮ রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে গোটা দেশে ফের ছড়িয়ে পড়বে মহামারী। সংক্রমণ রুখতে মাইক্রো কনন্টেনমেন্ট জোন, দূরত্ববিধি, প্রয়োজনীয় কোভিড বিধি জারি সহ একগুচ্ছ নির্দেশিকার কথা আলোচনা হয়েছে ভার্চুয়াল বৈঠকে। সেদিনই এমন নির্দেশিকা জারি করল মেট্রোরেল।
চিকিৎসকরা জানান, মাস্ক ছাড়া কোনও উপসর্গহীন করোনা রোগী যদি এসি মেট্রোয় ওঠে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেহেতু কোভিড ১৯ ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়। সে বিষয়ে উদ্বেগে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কথা বলা, হাঁচি কাশির ফলে যে ড্রপলেট তৈরি হয় তা আয়তনে প্রায় ৫ মাইক্রোমিটারের বেশি। এত বড় কণার পক্ষে এক মিটারের বেশি দূর পর্যন্ত যাওয়া খুব মুশকিল। বিজ্ঞানীদের মত, যে ড্রপলেট ১ মিটারের মধ্যে লুটিয়ে পড়ার কথা, এয়ার কন্ডিশনের বায়ুর প্রবাহ সেগুলোকে অনেকটাই দূরে নিয়ে যেতে পারে। আর মেট্রোয় এক সঙ্গে প্রচুর যাত্রী থাকেন। তাই দ্রুত সেখানে করোনা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা।
মেট্রো সূত্রে খবর, লকডাউনের পর যখন প্রথম মেট্রো চালু হয়, সেসময় মাস্কের বিষয়ে কড়াকড়ি ছিল। কিন্তু এখন তা অনেকটা শিথিল হয়েছে। যাত্রীরা মাস্ক না পড়েই উঠে পড়ছেন মেট্রোয়। কেউ আবার স্টেশনে ঢোকার সময় পড়লেও পরে আবার খুলে ফেলছেন মেট্রোতে উঠে। তাই বিষয়টি নিয়ে নজরদারি শুরু করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। আপাতত মাস্ক পড়ার বিষয়টি মেট্রোর পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে নিয়মিত ঘোষণা হবে।