বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়নি এখনো। সময়মতো নির্বাচন হলেও হাতে রয়েছে আরো ছয়মাসের মতো। কিন্তু রাজ্যে নবান্ন কার দখলে থাকবে , তা নিয়ে সরগরম কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি। নামি সংবাদ পত্র পিটিআই সূত্রে জানা গেছে রাজ্যে পালাবদল ঘটতে পারে। আর সমীক্ষার খবর সামনে আসতেই সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তবে কোন সংস্থা বা এজেন্সি এই সমীক্ষা চালিয়েছে তার বিশদ তথ্য প্রকাশিত হয়নি ওই পত্রিকায়। একুশের যুধ্যে শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষমতাধর বিরোধী দল হিসেবে ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। লোকসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গে আশাতীত সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে নবান্ন দখলের নাটকে শেষ দৃশ্য মধুরেণ সমাপয়েৎ করতে উঠে পড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে রাজ্য নেতৃত্বরা। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বদের বারবার কলকাতা বা উত্তরবঙ্গ সফর তাই প্রমান করে।
একুশে মমতা সরকারকে হঠাতে রীতিমতো কোমরবেঁধে লেগেছে বিজেপি। বাংলা দখল করতে মরিয়া মোদী-শাহ-নাড্ডারা। একুশের মহারণের আগে রাজ্য়বাসীর মন বুঝতে ২টি এজেন্সিকে দিয়ে ৭৮ হাজার বুথে সমীক্ষা চালিয়েছে পদ্মবাহিনী। বিজেপির শক্তি ও দুর্বল জায়গায় যেমন আলোকপাত করা হয়েছে, তেমনই প্রতিপক্ষ শিবিরের শক্তি ও দুর্বল জায়গাও খতিয়ে দেখা হয়েছে এই সমীক্ষাপর্বে। জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষে আরও একটি সমীক্ষা চালানো হবে।
সূত্রের খবর, দ্বিতীয় সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় আমফান পরবর্তী সময়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আদতে বিজেপির পালে হাওয়া জুগিয়েছে।