জিনপিং এর বিরুদ্ধে রাজপথে চীনারা

ভারতীয় সৈন্য ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে লড়াইয়ে প্রান কেড়েছে অনেকে ভারতীয় সেনার। দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন তারা। কোলকাতার বসবাসকারী চীনারা লাদাখে চীনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পথে নামলেন। চিংড়িঘাটায় কলকাতার বসবাসকারী চীনারা ভারতের জাতীয় পতাকা নিয়ে রাস্তায় নামেন। ‘বন্দেমাতারাম’ বলে চীনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুললেন। ‘ভারত মাতা কি জয় স্লোগান’ আর হাতে  ইন্ডিয়ান আর্মিদের সমর্থন জানিয়ে প্ল্যাকার্ড। ভারতীয় পতাকা  নিয়ে  বিক্ষোভ মিছিলে সামিল শহরের চিনা নাগরিকরা।

জানা গিয়েছে, চায়না টাউনের চীনা বাসিন্দারা ‘যুদ্ধ নয় শান্তি চায়’ স্লোগান তুললেন। তার জন্য চীনের প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন চায়না টাউনের বাসিন্দারা। তারা চান ভারতের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব মজবুত হোক, দুই দেশের ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো বাড়ুক এমনটাই চাইছেন কলকাতার বসবাসকারী চীনের বাসিন্দারা।

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের একাধিক সংস্থা চিনের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে করা চুক্তি বাতিল করার প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। চিনা দ্রব্য বয়কট করার জন্য একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু করেছেন ভারতীয় নাগরিকরা। কলকাতা সহ  রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চিনা দ্রব্য বয়কটের দাবি জানিয়ে কোথাও কুশপুতুল দাহ, আবার কোথাও বা চিনা দ্রব্য পুড়িয়ে আন্দোলনে সামিল আমজনতা ।তবে এবার বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচিতে সামিল হলেন কলকাতার চিনা নাগরিকরাও।

তারা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখানোর সময় তারা বলেন, আমরা বহুদিন ধরে ভারতে আছি, কলকাতায় ব্যবসা-বাণিজ্য করছি, এই দেশ আমাদের এদেশের মানুষের রক্ত ঝরুক তা কখনোই আমরা চাই না। অবিলম্বে সমস্যার সমাধান হোক সেটাই চায় চীনা বাসিন্দারা। তবে, চীনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচির পিছনে হাত ছিল তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী জাভেদ খানের পুত্র চায়না টাউনের বাসিন্দাদের নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। গেটের সামনে ভারতীয় সেনাদের ওপর চিনা সৈন্যদের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলও করা হয়।

হাতে ভারতীয় পতাকা নিয়ে বেশ কয়েকজন চিনা নাগরিককে দেখা গেল লাদাখের ঘটনার বিরোধিতা করে চিনা সেনা বিরোধী স্লোগানে সোচ্চার হতে । ‘WE STANDS FOR INDIAN ARMY’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ভারতীয় সেনাদের ওপর আক্রমণ যে তাঁরা সমর্থন করেন না সেই আওয়াজই তুলে এলাকা পরিক্রমা করেন চিনা নাগরিকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *