ভোটের পরেও সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ভোট মিটলেও মেটেনি তার পরবর্তী চিত্র। একুশে বিধানসভা ভোট – এর ফলাফল জন্য নিয়ে নন্দীগ্রামের জল এবার হাইকোর্টে। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলার শুনানি আজ হল না কলকাতা হাই কোর্টে। পিছিয়ে গেল মামমলার শুনানি। বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে ইলেকশন পিটিশন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত শুনানি পিছিয়ে দিলেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।
আবেদনকারী সশরীরে এজলাসে না থাকার কারণেই এই মামলার শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র। জবাবে মমতার আইনজীবী জানান, নিয়ম মেনেই চলা হবে। নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে। এই অভিযোগ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গণনায় কারচুপির পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগে করেছেন তিনি। রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়েও মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২ মে ভোট গণনার দিন টান টান উত্তেজনায় প্রথমে খবর চাউর হয়, ১২০০ ভোটে নন্দীগ্রামে জয়ী হয়েছেন মমতা। তার ঠিক কিছু ক্ষণ পরেই আবার খবর আসে, নন্দীগ্রামে মমতা নয়, জিতেছেন শুভেন্দু। ১৯০০-র কিছু বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি জিতেছেন নন্দীগ্রামে। পরে শুভেন্দুকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তখন থেকেই গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফল নিয়েই মামলা দায়ের করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।