খনিতে কাজের পরে ধর্ষণ

পরিস্থিতি বুন্দেলখণ্ডের চিত্রকূট অঞ্চলের এই ঘটনা সামনে আসার পরে লজ্জায় ও বিস্ময়ে আঁতকে উঠেছে গোটা দেশ। রাজধানী দিল্লি থেকে এই এলাকার দূরত্ব ৭০০ কিলোমিটার। এই এলাকার একটা বড় অংশ জুড়ে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বাস। এলাকার খনি ও খাদানে কাজ করেই তাঁদের জীবন নির্বাহ হতো। রোজগার নেই বহু পরিবারের। ফলে পেটের জ্বালায় অতিষ্ঠ মানুষ। কাজের খোঁজে নানা রকম চেষ্টা চলছে। সামান্য মজুরির বিনিময়ে খনি বা খাদানে কাজ করতে হচ্ছে কিশোরীদের। শুধু তাই নয়, সেই মজুরি পাওয়ার জন্য ধর্ষণেরও শিকার হতে হচ্ছে তাদের!

অভিযোগ, যোগী রাজ্যের এই অমানবিক ঘটনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, প্রাপ্য মজুরির টাকা পাওয়ার জন্য আপস করতে হচ্ছে কিশোরীদের। এমনকি তাতে রাজি না হলে, পাহাড় থেকে ছুড়ে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে!

তবে ইদানীং বন্ধ সব, ফলে খাবার জুটছে না মানুষের। তার মধ্যেই কিছু মানুষ অবৈধ খনন শুরু করেছে। আর সেখানেই কাজে লাগানো হচ্ছে কিশোরীদের। পয়সার অভাবে তাতেই রাজি নিরুপায় এলাকাবাসী। পেট চালানোর অন্য পথ নেই যে।

সারা দিন কাজ করে ১০০-১৫০ টাকা মিলবে, এই শর্তে খনির বিপদে নামছে কিশোরীরা। কিন্তু বিপদ শুধু খনিতেই নয়, তার বাইরেও। কাজ শেষের পরেই নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়। তবে মেলে টাকা। রাজি না হলেই হুমকি। টাকার অভাবে এক দুঃসহ পরিস্থিতির মুখে তারা।

এসব কিছু যে খুব গোপনে বা না জানিয়ে হয়, তাও নয়। বাড়ির মেয়েদের কাজে পাঠানোর পরে তারা কী অবস্থায় ফেরে, তা ভালই জানে পরিবার। কিন্তু তাঁরাও নিরুপায়! সব জেনেও যেন বাধ্য হয়ে নরকে পাঠিয়ে দিতে হয় মেয়েদের। নষ্ট হয় তাদের কৈশোর, হয়তো গোটা জীবন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *