ভারতে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার ৭৩ শতাংশের বেশি। কিন্তু চিকিৎসক মহল এক নতুন আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে। কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পরে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শ্বাসের সমস্যা ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। এই নতুন সমস্যায় উদ্বেগ বেড়েছে চিকিৎসক মহলে।
গত সপ্তাহে করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। গুরুগ্রামের মেদান্ত হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ফের দিল্লির এইমস-এ ভর্তি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। জানা গিয়েছে তিন-চারদিন থেকে মাথা ঘুরছিল ও গা ব্যথা হচ্ছিল তাঁর।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও রাজ্যসভার সাংসদ কেজে আলফোন্স জানিয়েছেন, তাঁর ৯১ বছর বয়সী মায়ের দেহে গত ২৮ মে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তিনি সুস্থও হয়ে ওঠেন। দু’বার তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু গত ১১ জুন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
সইফি হাসপাতালের ডক্টর দীপেশ আগরওয়াল জানিয়েছেন, “যাঁরা আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন, তাঁরা দু’সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসছেন। এমনি ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা এক মাসের মধ্যে ফিরে আসছেন। তাঁদের বেশিরভাগেরই হৃদযন্ত্র ফুলে উঠছে, মাথা ঘুরছে। এই সবগুলিই লাং ফিব্রোসিসের লক্ষণ।”
জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের কিছু কিছু হাসপাতালে সুস্থ হয়ে ওঠার পরে ৪০ শতাংশ রোগী ফিরে আসছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তাঁদের শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা হচ্ছে। ফলে শুকনো কাশি হচ্ছে ও শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে।
অনেকের মধ্যেই এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। আর তাই দিল্লি সরকারের পরিচালনায় চলা রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল একটি পোস্ট কোভিড ক্লিনিক শুরু করছে। বুধবার থেকেই শুরু হচ্ছে এই ক্লিনিক। যাঁরা করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন তাঁদের জন্য চালু হয়েছে এই ক্লিনিক।
রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডক্টর বি এল শেরওয়াল জানিয়েছেন, “করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। কিছু রোগী বলছেন, তাঁদের কাশি হচ্ছে, কেউ বলছেন মাথা ঘুরছে, কেউ আবার বলছেন গা-হাত পা ব্যথা করছে। এই রোগীরা বিভিন্ন বয়সের রয়েছেন। ছেলে-মেয়ে সবার শরীরেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে।”