৫ জুলাইয়ের ওই ঘটনার ভিডিওটি গতকাল ছড়িয়ে পড়তেই স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন শহরের বাসিন্দারা। সুরক্ষা নিয়ে তুলেছেন প্রশ্ন। ভিডিও দেখে নেটিজেনেরাও প্রবল সমালোচনা করেছে গ্রেটার হায়দরাবাদ পুর প্রশাসনের। কেন একজন কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তির মৃতদেহ সত্কারের ক্ষেত্রে এতটা অব্যবস্থা, কী করেই বা চিতা পর্যন্ত পৌঁছে কুকুর দেহ টানতে পারছে, কেনই বা আধ-পোড়া দেহ থাকছে চিতায়– এসব প্রশ্ন নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সকলে।
সদ্য নিভে যাওয়া একটি চিতার চারপাশে ঘুরছে পথ কুকুরের একটি দল। তাদের মধ্যে একটির মুখে আধপোড়া দেহাংশ। হায়দরাবাদ শ্মশানে এমনই দৃশ্য দেখা গেছে দিন কয়েক আগে। আজ সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই জানা গেছে উদ্বেগজনক তথ্য। যে দেহটি ওরকম ভাবে কুকুরের মুখে ঘুরছিল, তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত এক ব্যক্তির দেহ। সেটিই চিতা থেকে টেনে ছিঁড়ে খাচ্ছিল কুকুরে। যদিও গ্রেটার হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের দাবি, প্রবল বৃষ্টিতে জ্বলন্ত চিতার আগুন নিভে যায়। আর তখনই শ্মশানের একটি ভাঙা দেওয়াল দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে কুকুরের দল।
তবে ঘটনার কথা জানার পরেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি কর্পোরেশনের। তারা জানিয়েছে, প্রতিটি চিতার ওপরে ছাউনি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, মেরামত করা হয়েছে শ্মশানের ভাঙা দেওয়ালও। এমনকী, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দেহ পোড়ানোর জন্য একটি বৈদ্যুতিন চুল্লিও তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।