চলতি বছর মে মাসে কেরলের পালাক্কাড়ে ঘটে এই নৃশংস ঘটনা। বাজিভর্তি ফল খেয়ে ফেলে একটি গর্ভবতী হাতি। ফলটি তার মুখের মধ্যে যাওয়ার পরে বিস্ফোরণ হয়। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয় সে। ওই অবস্থায় বেশ কিছু জায়গায় ঘোরে হাতিটি। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে নদীর জলে মুখ ডুবিয়ে বসে থাকে সে। ওই অবস্থাতেই ২৭ মে মৃত্যু হয় হাতিটির। এই বর্বর ঘটনায় কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছিলেন সবাই। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করে কেরল সরকার।
এই ঘটনা জানার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ। নেটিজেনরা তো বটেই সেলিব্রিটিরাও দোষীদের শাস্তির আবেদন জানান। তারপরেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভারতের অনেক এলাকাতেই বন্য পশুদের হাত থেকে ফসল বাঁচানোর জন্য এভাবে ফলের মধ্যে বাজি ভরে রাখার নিয়ম রয়েছে। এই নিয়মে যাতে বদল করা হয়, তার জন্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনেকে। সেই পিটিশনের ভিত্তিতেই এই নোটিস দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
শুধুমাত্র গ্রেফতার করে যে এই ধরনের ঘটনা থামানো সম্ভব নয়, তার জন্য আইনে বদল দরকার, সেই আবেদন করেই সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় একটি পিটিশন। এই পিটিশনের ভিত্তিতে কেন্দ্র ও ১৩টি রাজ্যকে নোটিস দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টে দায়ের পিটিশনে বলা হয়েছে, এইভাবে বিস্ফোরক খাইয়ে কোনও পশুকে মেরে ফেলার ঘটনা বর্বরোচিত। এই ঘটনার জন্য কড়া আইন আনা উচিত। এই পিটিশনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় সরকার ও কেরল- সহ ১৩টি রাজ্যকে নোটিস জারি করে বলা হয় এভাবে বাজির ব্যবহার করে পশুকে মারার ঘটনা বেআইনি। এই ঘটনা ভারতের সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারাকে ভেঙেছে। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, প্রিভেনশন অফ ক্রুয়েলটি টু আনিম্যালস অ্যাক্ট, ১৯৬০ এ বদল আনতে হবে। এই আইনকে আরও অনেক কড়া করতে হবে। যাতে এভাবে পশুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার না করা সম্ভব হয়, তার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্যগুলিকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।