উন্নয়নকে হাতিয়ার করে উত্তরে ভোট প্রচার শুরু করে দিলেন তৃনমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি তার ওপর খাড়ার ঘা গোষ্ঠীকোন্দল এবং দলত্যাগ। এই পরিস্থিতিতে উত্তরের সংগঠনকে মজবুত করতে আসরে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী। পিকেকে আড়ালে রেখে আপাতত নিজ হাতে দলের হাল ধরলেন। দলীয় কাজকর্মের খোঁজখবর নিতে সপ্তাহে সপ্তাহে রিপোর্ট নেবেন মমতা। এদিন জলপাইগুড়ি কর্মীসভা মঞ্চ থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ তাগেন মমতা। তিনি জানান এনআরসি, এনআরপি র জুজু দেখিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। ভোটের আগে চাবাগান অধিগ্রহনে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিলেও জেতার পর তা পুরণ করেনি বিজেপি এবং কেন্দ্র সরকার। মমতার দাবি আমরাই চাবাগান খুলছি, চা সুন্দরী প্রকল্পের মাধ্যমে বাগানের শ্রমিকদের বাড়ি তৈরি করে দেবে রাজ্যসরকার। জয় জহার প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি উপজাতিদের সাহায্য করছে তারা।চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে বিনামূল্যে খাদ্য সরবরাহ করা হয়। অথচ পাশের রাজ্য অসমে টাকার বিনিময়ে শ্রমিকদের রেশন দেওয়া হয়। এটাই তফাত বিজেপি ও তৃণমূলের।
মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি শহরের এবিপিসি মাঠের কর্মী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী কল্পতরু সেজে সব সরকারি প্রকল্পের উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ” রাজ্য সরকারে আছি কাজ করছি। ভুল হতে পারে। বিজেপি বাইরের রাজ্য থেকে গুন্ডা এনে পশ্চিমবঙ্গে অশান্তি সৃষ্টি করছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য অবিলম্বে ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে সব পরিযায়ী শ্রমিকদের সুযোগ দিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডি এম কে বলেছি দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে জলপাইগুড়ি জেলার এই শ্রমিকদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেএলও করতেন মূল স্রোতে ফিরে এসেছেন যাঁরা তাঁদের চাকরি দেওয়া হবে। উত্তরবঙ্গের লোকসভা নির্বাচনে আমি কোনও আসন পাইনি। বিধানসভা নির্বাচনে সব আসন চাই। বাংলাকে গুজরাট বানাতে দেব না। “