ইয়াসের হাত থেকে বরাতজোরে রক্ষা পেলেও বৃষ্টিতে ভাসল কলকাতার একাধিক অংশ। ঘূর্ণিঝড়ে প্রভাবে জলস্ফীতি হয় আদিগঙ্গায়। যার জেরে জলমগ্ন হয়ে পড়ে কালীঘাট, রাসবিহারী, ভবানীপুর ও চেতলার বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমে যায় কালীঘাট মন্দির চত্বরে। ময়লা জল ঢুকে পড়ে বাড়ির ভিতর। পুরসভা জানিয়েছে, আদিগঙ্গার জলস্তর বাড়লে এলাকা জলমগ্ন হয়। সমস্ত ম্যানহোল খুলে দিলে জল নেমে যাবে। গোটা এলাকার জল নামতে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।
পূর্ণিমা, চন্দ্রগ্রহণ ও ভরা কোটালের জেরেই আদিগঙ্গার জলস্তর বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। করোনা পরিস্থিতিতে জলমগ্ন অবস্থায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখছেন চিকিৎসকরা। এদিকে, নবান্ন থেকে পরিস্থিতির উপর নজরদারি চালান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে গঙ্গার জলস্তর আরও বাড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে দক্ষিণ কলকাতার জলমগ্ন হয়ে পড়া এলাকাগুলিতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাত থেকে একনাগাড়ে চলা বৃষ্টিতে উত্তর কলকাতার একাধিক এলাকাও জলমগ্ন হয়ে পড়ে। জম জমে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট, কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া এলাকা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে। সল্টলেক অঞ্চলেই গাছ ভেঙে পড়ে রাস্তা আটকে যায়। যদিও গোটা শহরেই NDRF টিম দ্রুত পরিস্থিতি সামাল দিতে নেমে পড়ে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ইয়াসের প্রভাবে গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টিপাত হয়েছে ৩১ মিলিমিটার।