আচমকাই উদ্বেগ ছড়ালো পুরো উত্তরাখণ্ডে। উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ নিয়ে বিরাট আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। একাধিক বাড়ি এবং রাস্তায় বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ভেঙে পড়ে জোশীমঠের একটি মন্দির। শেষ কয়েকদিনে বেশ অনেকটাই বসে গিয়েছে এই অঞ্চল এবং আগামী দিনে যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে তা আভাস মিলেছে। এরই মাঝে আচমকা ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর ভারতের আরও এক পাহাড়ি রাজ্য। স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে আরও আশঙ্কা বাড়ছে।
শনিবার সকালের দিকে হালকা কেঁপে ওঠে হিমাচল প্রদেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা মাত্র ৩.২ ছিল। কম্পনের মাত্রা তীব্র না হলেও এই মুহূর্তে পাহাড়ি রাজ্যের যে কোনও মাপের কম্পনের খবরই আতঙ্ক বৃদ্ধি করছে। জানা গিয়েছে, হিমাচলের চাম্বা জেলাতে এই কম্পন অনুভূত হয়েছে। এদিন ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ এই ভূমিকম্প হয় এবং ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিলোমিটার গভীরে। কিছুদিন আগে উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি, জোশীমঠও কেঁপে উঠেছিল।
বর্তমানে জোশীমঠ নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকার ভীষণভাবেই চিন্তিত। সেখানের ৬০০টিরও বেশি বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। এছাড়াও হোটেল, রাস্তা, সেনা ছাউনিও বাদ যায়নি ফাটল থেকে। বিষয়টি এতটাই ভয়ানক যে জোশীমঠের অস্তিত্ব নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই ‘ইসরো’ দাবি করেছে, মাত্র ১২ দিনে ৫.৪ সেন্টিমিটার বসে গিয়েছে জোশীমঠ। একটি উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ৫.৪ সেমি বসে গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠ।