গোল্ড জুয়েলারি ও ইনভেস্টমেন্টের চাহিদা বাড়বে

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের সাম্প্রতিক ‘গোল্ড ডিমান্ড ট্রেন্ডস’ রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, ২০২১ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গোল্ডে কনজিউমার ইনভেস্টমেন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে, কিন্তু কিছু ইনভেস্টর ছিলেন ‘লেস বুলিশ’। এইসময়ে গোল্ড ডিমান্ড ছিল ৯৫৫.১ টন। ২০২১ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকের অপেক্ষায় এটা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি। বিগত বছরের একইসময়ে এটা ছিল ৯৬০.৫ টন।

কনজিউমার গোল্ড পারচেজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিস্থিতি দেখা গেছে এপ্রিল থেকে জুন মাসে। রিটেল ইনভেস্টররা প্রচুর পরিমাণে বার ও কয়েন কিনেছেন (২৪৩.৮ টন) যা একটানা চারবারের ত্রৈমাসিক ইয়ার-অন-ইয়ার ভিত্তির হিসেবে সন্তোষজনক। গ্রাহকরা গোল্ড জুয়েলারি কিনেছেন ৩৯০.৭ টন, যা বিগত বছরের একই ত্রৈমাসিকের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে ইটিএফ (এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ডস) নেট ইনফ্লো ছিল ৪০.৭ টন। বিগত ত্রৈমাসিকের হেভি আউটফ্লো অপেক্ষা এই ইনফ্লো ‘পার্শিয়ালি অফসেট’, ফলে ২০১৪ সালের পর ২০২১ সালে এই প্রথম নেট আউটফ্লো দেখা গেছে বছরের প্রথম ৬ মাসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি পুরো ত্রৈমাসিক কালে গোল্ড ক্রয় অব্যাহত রেখেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গ্লোবাল গোল্ড রিজার্ভ ১৯৯.৯ টন বৃদ্ধি পেয়েছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের ধারণা, চলতি বছরে জুয়েলারি ডিমান্ড হতে পারে ১৬০০ টন থেকে ১৮০০ টন। ২০২১ সালের নেট বেসিসে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলি গোল্ড কেনা অব্যাহত রাখতে পারে ২০২০ সালের মতো বা তার অধিক হারে। আশা করা হচ্ছে, ২০২১ সালে গোল্ড সাপ্লাই বেশ কিছুটা বাড়তে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *