সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছে প্রজ্ঞান

এক সপ্তাহ হয়েছে চাঁদের মাটিতে চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের। ইসরো জানিয়েছে পথে বিশাল খাদের সামনে পড়ায় অনেকটা ঘুরে পথ চলা শুরু  করতে হয়েছে প্রজ্ঞানকে। এই আবহে সময়ের বিরুদ্ধে দৌড়াচ্ছে প্রজ্ঞান। যদিও আক্ষরিক অর্থে প্রজ্ঞান দৌড়তে পারে না। কারণ এটি সেকেন্ডে এক সেন্টিমিটার গতিতেই এগোতে পারে।

চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামতে আর ১০ দিনও বাকি নেই। বাকি ক’দিনে যতটা সম্ভব এলাকা ঘুরিয়ে প্রজ্ঞানের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। এই প্রথম কোনও দেশ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে মহাকাশযান অবতরণ করাতে সক্ষম হয়েছে। তবে এই মিশন মাত্র ১৪ দিনের জন্যই স্থায়ী থাকার কথা ছিল। কারণ একবার দক্ষিণ মেরুতে অন্ধকার নামলে প্রজ্ঞান ‘ঘুমিয়ে’ পড়বে। উল্লেখ্য প্রজ্ঞান সৌরবিদ্যুৎ চালিত একটি যান। তাই অন্ধকার নামলে এটি আর কাজ করতে পারবে না। এদিকে চাঁদে দক্ষিণ মেরুতে যখন রাত নামে, তখন সেখানে প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়ে। এই পরিস্থিতিতে হাতে আর যেটুকু সময় আছে, তার মধ্যে যতটা সম্ভব জানতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। প্রজ্ঞান রোভারে থাকা ‘চন্দ্র সারফেস থার্মোফিজিকাল এক্সপেরিমেন্ট’ পেলোড চাঁদের মাটির তাপমাত্রা পরীক্ষা করছে এবং সময়ের সঙ্গে পারদের ওঠানামার বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে।

দেখা গিয়েছে যতই চাঁদের মাটির গভীরে যাওয়া হচ্ছে, তত তাপমাত্রা কমছে। সম্প্রতি চাঁদের গর্তের মুখে পড়ে ২৮ কেজি ওজনের ৬ চাকার প্রজ্ঞান। সেই গর্তের আকার ১০০ মিলিমিটার। তবে এই গর্ত পার করা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ ছিল রোভার প্রজ্ঞানের জন্য। প্রজ্ঞান গর্তের সামনে যেতেই সচেতন হন ইসরোর কন্ট্রোল রুমে থাকা বিজ্ঞানীরা। এরপর প্রজ্ঞানকে অন্য পথে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয় ইসরোর কন্ট্রোল রুম থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *